

নিয়মিত অধিনায়ক জো রুটের অবর্তমানে সাউদাম্পটন টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেন বেন স্টোকস। তবে এই অলরাউন্ডারের অধিনায়কত্বের অভিষেকটা দল হিসেবে রাঙাতে পারেনি ইংল্যান্ড। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পঞ্চম দিনের শেষ বিকেলে হেরেছে ৪ উইকেটে। ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ যথেষ্ট ছিলনা ২০০ রানের লক্ষ্যে ছুটতে থাকা ক্যারিবিয়ানদের থামাতে।
অতিরিক্ত গতির পেসার নিতে টানা ৫১ টেস্ট পর ঘরের মাঠে দর্শক বনে যেতে হয় ইংলিশদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটের মালিক স্টুয়ার্ট ব্রডকে। বাদ পড়া ব্রড ম্যাচের তৃতীয় দিনই নিজের রাগ, ক্ষোভ ও অভিমানের বহিঃপ্রকাশ করেন। দলপতি বেন স্টোকসও স্বীকার করছেন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করা এমন অভিজ্ঞ একজনের বাদ পড়ে হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। তবে এসব নিয়ে অনুশোচনায় ভুগতে চান না স্টোকস, অতীতে ফিরে যেতেও ঘোর আপত্তি তার।
তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক স্টোকস কথা বলেছেন স্টুয়ার্ট ব্রডের বাদ পড়া ও রাগে, অভিমানে দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে। ইংলিশদের ভারপ্রাপ্ত কাপ্তান বলেন, ‘সে (ব্রড) বাদ পড়ে রাগান্বিত, হতাশ ও উদাস হয়ে পড়ে। স্টুয়ার্টের সাক্ষাৎকারটি একদম দুর্দান্ত ছিল।’
‘একজন ক্রিকেটার যে ১০০ এর বেশি (১৩৮) টেস্ট খেলেছে এবং প্রচুর উইকেট (৪৮৫) নিয়েছে তার ভেতর আবেগ থাকাটা স্বাভাবিক। এমন কিছুর পর (বাদ) এখনো তার ভেতরে যে জ্বালা সেটা অসাধারণ।’
সদ্য সমাপ্ত সাউদাম্পটন টেস্টে ব্রড জায়গা হারিয়েছেন জিমি অ্যান্ডারসন, জফরা আর্চারের সাথে মার্ক উডকে সুযোগ দিতে গিয়ে। যেখানে দুই ইনিংস মিলিয়ে মার্ক উডের শিকার মাত্র ২ উইকেট। জফরা আর্চার ও জিমি অ্যান্ডারসন সমান ৩ টি ও অধিনায়ক বেন স্টোকস ৬ উইকেট নিয়েছেন। অন্যদিকে অফ স্পিনার ডমিনিক বেসের ভাগেও আছে দুই উইকেট।
সব মিলিয়ে ইংলিশদের বোলিং আক্রমণ যে সেরা ছিলনা সেটার প্রমাণ মিলে সহজেই। কিন্তু এ নিয়ে আফসোস ঝরাতে চান না অধিনায়ক স্টোকস। মূলত তার ব্যক্তিত্বেই নেই পেছনে ফিরে যাওয়া কিংবা অনুশোচনা করা। ইংলিশ কাপ্তান বলেন, ‘দল নির্বাচনের ব্যাপারে আমি যদি অনুশোচনা বোধ করি তবে যারা খেলেছে তাদের জন্য বাজে একটা বার্তা দিবে।’
‘আমরা আসলে ভেবেছি যে গতি হয়তো ভালো কাজে দিবে। আপনি যদি সিদ্ধান্ত নেন তাহলে সেগুলোর পক্ষেও দাঁড়াতে হবে। আমি পিছনে ফিরে তাকানো কিংবা অনুশোচনা করার মত ব্যক্তি না।’
ম্যাচ হারের জন্য প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন ২৯ বছর বয়সী এই ইংলিশ অলরাউন্ডার, ‘আমরা জানি আমাদের ভুলগুলো কোথায় হয়েছে। স্কোরবোর্ডে প্রথম ইনিংসে আপনাকে যথেষ্ট রান যোগ করতে হবে, কন্ডিশন যাই হোক না কেন। তারা যা তাড়া করেছে তার চাইতে ৬০,৭০ কিংবা ৮০ রানে বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করলে খেলাটা অন্যরকম হতে পারতো।’