

করোনা বাধা দূরে সরিয়ে ক্রিকেট ফিরতে শুরু করেছে দেশে দেশে। ইংলিশদের মাটিতে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ম্যাচও। তবে এখনো বোর্ডের নির্দেশনায় কোন ক্যাম্প শুরু করতে পারেনি টাইগার ক্রিকেটাররা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে ক্রিকেট ফেরাতে বেশ সচেষ্ট অবস্থায় বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড)। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ঘর থেকে বের হতে শুরু করেছে ক্রিকেটাররা, নিজেদের মত করে চলছে স্কিল ট্রেনিং। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলছেন আগস্টের মাঝামাঝিতেই সবাইকে এক করতে চান।
কন্ডিশনিং ক্যাম্পের পরই স্থগিত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) আয়োজনের পরিকল্পনা। আর এভাবে এগোতে পারলে আগের অবস্থানে ফিরতে বেশি সময় লাগবেনা বলেও মত তার। জাতীয় দলের পাশাপাশি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ক্যাম্পের জন্যও ক্রিকেটারদের তালিকা চূড়ান্ত করে রেখেছে তারা।
আজ (১২ জুলাই) এক ভিডিও বার্তায় গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘আমরা নির্বাচক প্যানেল ৩৮ জনের একটা পুল তৈরি করেছিলাম কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য। যখনই ক্যাম্প শুরু হবে প্লেয়ারদের ডাকা হবে। সাথে ২৬ জনের এইচপি ক্যাম্পের তালিকাও তৈরি আছে। করোনার কারণে এইচপি টাও আমরা এবার যথাসময়ে শুরু করতে পারিনি। আমি আশা করছি এইচপি প্রোগ্রামটা আগস্টের মাঝামাঝি থেকে শুরু করতে পারি। আমাদের জাতীয় দল ‘এ’ দলের পাইপলাইন কিন্তু এই এইচপি।’
‘ফলে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যদি এটা শুরু করা যায় তবে একটা ধারাবাহিকতা থাকবে। আর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) যদি শুরু হয় ওখান থেকে সেরা পারফর্মারদেরও আমরা অন্তর্ভূক্ত করবো এইচপিতে। আসলে সব নির্ভর করছে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটার উপর। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ক্রিকেটাররাও মাঠে ফিরে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারলে আমি মনে করি তাড়াতাড়িই আমরা আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারবো।’
প্রায় চার মাস ২২ গজের সবুজ গালিচা থেকে দূরে ক্রিকেটাররা। ব্যক্তিগত উদ্যোগে গৃহবন্দী সময়টায় ফিটনেস নিয়েই কিছুটা কাজ করতে পেরেছে তারা। স্কিল নিয়ে খুব বেশি কাজের সুযোগ মেলেনি কারোই। লম্বা বিরতিতে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে সেটা কেটে যাবে যদি পরিকল্পনামত এগোতে পারে বিসিবি। এমনটাই জানালেন প্রধান নির্বাচক, ‘আমার মনে হয় পরিস্থিতি এখন কিছুটা ভালোর দিকে যাচ্ছে। এরকম চললে আগস্টের মাঝামাঝিতে তিন সপ্তাহের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করতে পারি।’
‘সেটা করা গেলে আমাদের স্থগিত হওয়া প্রিমিয়ার লিগও শুরু করা যাবে। ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে ক্রিকেটারদের আবার আগের মেজাজ ও লকডাউনে যে গ্যাপটা তৈরি হয়েছে সেটা রিকভারের সুযোগ থাকবে। এখনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল হয়নি সেটা একটা পরিকল্পনার বিষয়। সবমিলিয়ে আগস্টের মাঝামাঝিতে শুরু করা গেলে আবার আগের অবস্থায় ফিরে ভালো ক্রিকেট আশা করা যায়।’