

নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ক্রিকেট থেকে দূরে থাকাকে রীতিমত পাপ মনে করেন টাইগারদের অভিজ্ঞ সেনানী মুশফিকুর রহিম। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার হিসেবে খ্যাত এই ব্যাটসম্যানকেই কীনা প্রায় চার মাস গৃহবন্দী সময় কাটাতে হচ্ছে। তাইতো গতকাল ভর দুপুরে ইনস্টাগ্রামে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় দাঁড়িয়ে তোলা ছবি আপলোড করলেন আক্ষেপে মোড়ানো ক্যাপশনে।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এখনো পর্যন্ত ট্রেনিং শুরু করতে পারেনি বিসিবি। তবে ক্রিকেটারদের ফিট রাখতে সবধরণের সাহায্য করে আসছে শুরু থেকেই। যার সবশেষ সংযোজন ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সরঞ্জাম যেসব ক্রিকেটারদের কাছে নেই তাদের জন্য বিসিবি থেকে ধার নেওয়ার ব্যবস্থা করা। আর প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে জিমনেসিয়ামের সরঞ্জাম বাসায় নিতেই গতকাল (৬ জুলাই) মিরপুরের প্রিয় ঠিকানায় পদচারণা মুশফিকের।
গৃহবন্দী সময়টা যে একেবারে আরাম আয়েশ করে কাটিয়েছেন মুশফিক সেটা বলার উপায় নেই। মাঠের মত বাসায় থেকেও যতটা সম্ভব ঘাম ঝরিয়েছেন নিজেকে ফিট রাখতে। বাসায় ট্রেনিং সরঞ্জাম কেনার পাশাপাশি রানিংয়ের জন্য বাসার সামনের রাস্তাকেও বেছে নেন উইকেট রক্ষক এই ব্যাটসম্যান। আজ (৭ জুলাই) থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাজধানীর বাড্ডার বেরাইদে ফর্টিস গ্রুপের মাঠে অনুশীলনও শুরু করার কথা তার।
ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ এইজ’ কে ফিটনেস সরঞ্জাম নিতে মুশফিকের মিরপুর যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। তিনি বলেন, ‘মুশফিক কিছু জিম সরঞ্জাম নিতে এসেছিল। এখন আমরা ক্রিকেটারদের প্রয়োজনীয় জিম সরঞ্জাম বাসায় নেওয়ার অনুমতি দিচ্ছি। এসব দেশের যেকোন অঞ্চলে নিকটস্থ বিসিবি তত্বাবধানের জিমনেশিয়ামগুলো থেকে নিতে পারবে। ওয়েট ডাম্বেল, বিভিন্ন ধরণের স্ট্রেচিং ব্যান্ড রয়েছে যা তারা চাইলে নিতে পারবে।’
এদিকে লম্বা সময়ের বিরতির পর বিসিবিও মাঠে ক্রিকেট ফেরাতে বদ্ধ পরিকর। বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়া ইতোমধ্যে প্রায় সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেটাররাই শুরু করে দিয়েছে ব্যাট-বলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন। আগামীকাল (৮ জুলাই) ওয়স্ট ইন্ডিজ- ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ দিয়ে করোনা পরবর্তী প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি বর্তমানের মত বিদ্যমান থাকলেও আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে চায় বিসিবি। বিশেষে করে আগস্টের প্রথম দিকে পুরোদমে ক্রিকেটে ব্যস্ত হওয়ার আভাস বিসিবি কর্তাদের কণ্ঠে। আর সেভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা, ইতোমধ্যে দেশের ৮ টি ভেন্যু অনুশীলন ও ম্যাচ আয়োজন যোগ্য করে তুলতে কাজ শুরু করেছে ১০০ এর বেশি মাঠকর্মী।