

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অনিশ্চয়তার মেঘ উড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ ও আইপিএলের মত মেগা আসরগুলোর আকাশে। তবে সব ছাপিয়ে বিসিসিআই ঠিকই আইপিএল আয়োজনের উইন্ডো খুঁজতে ব্যস্ত। আইপিএল আয়োজনের যত বিকল্প আছে সবকিছুই ভেবে রাখছে ভারতীয় বোর্ড। প্রয়োজনে শ্রীলঙ্কা কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতেও মাঠে গড়াতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটের জমজমাট এই আসরটি।
করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা অন্যতম। দ্বীপ দেশটিতে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ২ হাজারের আশেপাশে, প্রাণ হারিয়েছে মাত্র ১১ জন। অন্যদিকে বৈশ্বিক পরিস্তিতি বিবেচনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতেও করোনা অনুকূলে। ফলে ভারতের বাইরে আইপিএল আয়োজন করতে হলে এই দুই দেশের কথাই ভাবছে বিসিসিআই।
বার্তা সংস্থা ‘আইএএনএস’ কে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ভেন্যু নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে সব সম্ভাব্যতাই বিবেচনায় আছে। এটি এই বছর বাইরে যাচ্ছে। ভারতের পরিস্থিতি একটি বা দুটি ভেন্যুতে এতগুলো দলকে এনে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের জন্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়। যদিও ম্যাচগুলো ‘ক্লোজ ডোর’ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’
ভারতের বাইরে আয়োজন করতে হলে শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরবকে সেরা বিকল্প ভাবছে তারা, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে আমদের বেছে নিতে হবে, যেটির পরিবেশ আমাদের কাছে যথাযথ মনে হবে। তাদের করোনা পরিস্থিতিও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্ট কোথায় ভালো হবে সেটা চিন্তা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিব।’
আইপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বোর্ডে কীভাবে আলোচনা হচ্ছে তা বোঝাতে গিয়ে ঐ কর্মকর্তা যোগ করেন, ‘যদি আপনি বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে চান তবে সিদ্ধান্ত গ্রহীতারা ৩-২ এ বিভক্ত। কেউ বলছে টুর্নামেন্ট হওয়া উচিৎ প্রয়োজনে দেশের বাইরে আয়োজন হোক। সুতরাং আমরা যখন সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে যাই ভেন্যু একটি ইস্যু যা নিয়ে গভীর আলোচনা প্রয়োজন। দিনশেষে ক্রিকেটার ও সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষা অগ্রাধিকার পাবে।’
আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেলও শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্যা হিন্দু’কে প্যাটেল বলেন, ‘তারা (আরব আমিরাত ও লঙ্কান বোর্ড) আমাদের জানিয়েছে যে আইপিএল আয়োজন করতে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের প্রথম লক্ষ্য ভারতে আয়োজন করা যদি সরকারি অনুমতি পাওয়া যায়।’
‘এটা নিশ্চিত যে ভারতে আমরা তিন-চারটির বেশি ভেন্যুতে খেলতে পারবোনা। তবে অনুমতি পাওয়াটা নির্ভর করছে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমার উপর। অন্যথায় আমাদের বাইরের দেশে আয়োজনের পথ খুঁজতে হবে যা সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে। আসলে দর্শকবিহীন মাঠে যদি খেলেন সেক্ষেত্রে আসলে কোথায় খেলছেন সেটা খুব একটা জরুরী না।’