

চলতি বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট ব্যস্ত সূচীতে ঠাঁসা ছিল। এমনিতে খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ না পাওয়া বাংলাদেশে এ বছর অন্তত ১০ টি টেস্ট খেলতে পারতো। এর বাইরে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মত ইভেন্ট ছাড়াও ঘরে বাইরে টানা খেলার মধ্যেই থাকতে হত তামিম-মুশফিকদের। কিন্তু করোনা ভাইরাস প্রভাবে সবকিছুই এলোমেলো, একের পর এক স্থগিত হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। আইসিসি ইভেন্টগুলো পিছিয়ে গেলে চলতি বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগই প্রায় শূন্যের কোঠায়।
নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ক্রিকেট থেকে ছুটি নেওয়া মুশফিকুর রহিমের কাছে নিজেকে শাস্তি দেওয়া কিংবা পাপ সমতূল্য। অথচ অপ্রত্যাশিত ছুটিতে গৃহবন্দী কাটছে তিন মাসের বেশি সময়। তবে ইতিবাচক মুশফিক অবশ্য ফাঁকা সময়কে ভিন্নভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। ক্রিকেটারদের জন্য এমন বিশ্রাম মাঝে মাঝে দরকার বলেও মনে করেন টাইগারদের অভিজ্ঞ এই সেনানী।
মুশফিক বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ও হতাশার সময়। কিন্তু আমি সবসময় বিশ্বাস করি আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে। আমরাতো জানিনা, এমনও হতে পারতো চোটে পড়ে ৫-৬ মাস ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হত। তো চেষ্টা করছি সবসময় পজিটিভ চিন্তা করার। আর আমি মনে করি রেস্ট বা এমন ব্রেক যেকোন ক্রিকেটারের জন্য মাঝে মাঝে দরকার।’
‘হয়তো এত লম্বা না। তারপরেও ব্রেক হলে নিজের খেলা সম্পর্কে ভালো ধারণা তৈরি হয়। শেষ ৫-৬ বছর আমার ভালো কেটেছে। তো সেসব নিয়ে চিন্তা করা, যেন পুনরাবৃত্তি করা যায়। সবকিছু মিলিয়েই আমি মনে করি ভালো একটা সময় কাটছে।’
তবে সব ছাপিয়ে অনেকগুলো টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েও মিস করতে হচ্ছে বলে আক্ষেপ আছে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকের। তার মতে যা শুধু ব্যক্তিগত নয় বাংলাদেশ ক্রিকেটেরই বড় ক্ষতি, ‘১০ টা টেস্ট খেলার যে সুযোগ ছিল সেটা বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে আমার মনে হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। যদিও আমাদের ২০ বছর পার হয়ে গেছে টেস্ট ক্রিকেটে। যে জায়গাটা সবাই চেয়েছে সে জায়গায়টায় আমরা হয়তো ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারিনি।’
‘সেটার অন্যতম একটা কারণ ছিল যে প্রতি বছর আমরা কম টেস্ট খেলি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সুবাদে এ বছর ১০ টি টেস্ট খেলার সুযোগ ছিল। কিন্তু করোনা প্রভাবে বেশিরভাগ সিরিজই স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। প্রার্থনা করি খুব দ্রুতই যেন এই মহামারী থেকে আমরা মুক্তি লাভ করতে পারি। খুব তাড়াতাড়ি যেন আমরা ক্রিকেট কার্যক্রমে ফিরে আসতে পারি।’