

২৪ টেস্টের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখনো পর্যন্ত সেঞ্চুরি কেবল একটি। আর সেটির দেখাও মিলে ১৭ তম টেস্টে এসে বাংলাদেশের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ড ওপেনার জিত রাভাল বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই সেঞ্চুরির পর কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। কবে সেঞ্চুরির দেখা পাবেন আশেপাশের লোকজন এমন প্রশ্নে ভালোই জর্জরিত করতো রাভালকে।
৪ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে ক্যারিয়ার গড় ৩০ এর আশেপাশে (৩০.০৭)। ৭ ফিফটির বিপরীতে মাত্র এক সেঞ্চুরি। তবে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলছেন নিজের পরিসংখ্যান নিয়ে তিনি খুশি। প্রথম দুই বছর ভালো কাটলেও মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়ায় পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ে বলেও জানান রাভাল।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ইএসপিএনক্রিকইনফো’ কে কিউই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘টেস্টগুলো খেলার জন্য আপনাকে দারুণ কিছু করার প্রয়োজন ছিল। আমি অনুভব করি প্রথম দুই বছর আমার ভালো কেটেছে (৪০ এর বেশি গড়) কিন্তু এরপরই ফর্ম হারাই। কিছু সমস্যা আমার খেলায় অবনতি ঘটাতে শুরু করে। এর এটি আমার মানসিক যুদ্ধে পরিণত হয়। কিন্তু আমি এখনো পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট। সবকিছু থেকেই আমি শিখেছি। আগের জায়গায় ফিরে যেতে আমি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’
২০১৯ সালে সেডেন পার্কে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেন ১৩২ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের ১৭ তম টেস্টে এসে প্রথম ও এখনো পর্যন্ত একমাত্র সেঞ্চুরির দেখা পান রাভাল। ওপেনার হয়েও সেঞ্চুরি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘদিন। নিজের যতটা খারাপ লাগতো তার চাইতে বেশি কাছের মানূষের প্রত্যাশার চাপ ছিল। টাইগারদের বিপক্ষে হাঁকানো সেঞ্চুরিটি তাই তার কাছে স্বস্তি হয়েই আসে।
৩১ বছর বয়সী কিউই এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ভেতর থেকে নয় (চাপ) তবে আশেপাশের লোকজন প্রায় জিজ্ঞেস করতো আরে, প্রথম সেঞ্চুরি কবে আসবে? এরপর আমিও ভাবতে শুরু করলাম অভিষেকের পর সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছিনা। এই বাহ্যিক চাপ আপনাকে চিন্তিত করে তুলবে, ভাগ্যক্রমে সেই চাপ দ্রুতই সরাতে পেরেছি। নিজের কাছেও ভালো লেগেছে সেটা করতে পেরে।’