

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করা টুর্নামেন্টটি সময়ের সাথে সাথে পৌঁছে গেছে অন্য উচ্চতায়। কাড়ি কাড়ি অর্থ, জশ খ্যাতি সব কিছু যেন এখানে এক সুতোয় গাঁথা। আইপিএলে মাঠের লড়াই শুরুর আগে খেলোয়াড়দের নিলাম ক্রিকেটেই নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে। আইপিএল নিলামের দিকে তাকিয়ে থাকে কোটি কোটি ভক্ত, প্রিয় তারকারা কে কোন দলে খেলবে সেটা যে নিলামে চূড়ান্ত হয়।
প্রথম আসরের আগে নিলামের বিষয়টি কীভাবে ভাবনায় এলো সে গল্প শুনিয়েছেন আইপিএলের সাবেক প্রধান ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (সিওও) সুন্দর রমন। গৌরব কাপুরের সঞ্চালনায় অকত্রি স্পোর্টস ইউটিউব চ্যানেলে সে সময়কার গল্প তুলে ধরেন রমন। তিনি জানান এক সন্ধ্যা চা খেতে খেতে ক্রিকেটারদের নিলাম ইস্যু সামনে আসে। মূলত কে কোন দলে খেলবে আর সেটা কীভাবে নির্ধারণ হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই নিলাম প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন।
এ প্রসঙ্গে সুন্দর রমন বলেন, ‘খেলোয়াড়দের নিলাম অনেকটা সন্ধ্যায় চায়ের আড্ডার ফাঁকেই উঠে আসে যখন আমরা আরও হাজারটা কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিক্রি করে দিয়েছিলাম, আমাদের ভেন্যুগুলো নিশ্চিত হয়ে গেছে, কেবল বাকি ছিক ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দলে কীভাবে আলাদা হবে? কে কোন দলে খেলবে সে ব্যাপারটা। শুধুমাত্র রাজ্য ভিত্তিক আইকন ক্রিকেটারগুলো নিশ্চিত ছিল। যেখানে শচীন টেন্ডুলকার মুম্বাই, বীরেন্দর শেবাগ দিল্লি, সৌরভ গাঙ্গুলি কোলকাতার হয়ে চূড়ান্ত হন।’
‘কিন্তু মাহেন্দ্র সিং ধোনি সেভাবে কোন হোম টিমের জন্য নির্বাচিত হতে পারেনি। ঐ আলোচনায় একটা চ্যালেঞ্জ উঠে আসে যে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ক্রিকেটার দলে নিতে কীভাবে আমরা প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবো? ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে একটি যাদের নাম এখন আমি মনে করতে পারছিনা ঠিক কারা ছিল। তারা বলল আমরা নিলাম করছিনা কেন? দুই মিনিট আলোচনা শেষে আমি বললাম এটা দারুণ একটা আইডিয়া। সবার মধ্যে বেশ ভালো আগ্রহ তৈরি করবে এমন কিছু। আর এভাবেই সিদ্ধান্ত হয়।’
ইতোমধ্যে আইপিএলের ১২ টি সফল মৌসুম শেষ হয়েছে। চলতি বছর মার্চের শেষদিকে ১৩ তম আসর মাঠে গড়ানোর কথা ছিল। তবে করোনা ভাইরাস প্রভাবে শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয় জমজমাট এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টটি। দফায় দফায় স্থগিত হওয়া এবারের আইপিএলের ভাগ্য ঝুলে আছে বেশ কিছু ‘যদি’, ‘কিন্তুর’ উপর। অক্টোবর-নভেম্বরে অস্টেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেছালেই চলতি বছর আইপিএল মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা বাড়বে।