

১৯৭৫, ১৯৭৯- ক্রিকেটের প্রথম দুই বিশ্বকাপ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপেও ফাইনাল খেলেছিল ক্যারিবিয়রা, হেরেছিল কপিল দেবের ভারতের বিপক্ষে। কোর্টনি ওয়ালশ, জোয়েল গার্নার, প্যাট্রিক প্যাটারসন, অ্যান্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিংদের মত পেসারদের সার্ভিস পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পেস ও বাউন্সে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করতে ওস্তাদ ছিলেন ক্যারিবিয় বোলাররা।
কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার ইস্যুতে ইদানীং কালে খুব সরব থাকা ড্যারেন স্যামি দাবি করেছেন কৃষ্ণাঙ্গদের সাফল্যকে দমাতেই বাউন্সারের নিয়ম তৈরি হয়। ১৯৯১ সালে অ্যাপেক্স বোর্ড নিয়ম চালু করে যে বোলাররা ওভারে একটি বাউন্সার করতে পারবেন। ১৯৯৪ সালে যা পরিবর্তিত হয়ে দুইটি হয়। ২০০১ সালে সি নিয়মে আরেক দফা পরিবর্তন হয়।
ইনসাইড আউটকে স্যামি বলেন, ‘দেখুন যখন জেফ থমসন, ডেনিস লিলিরা দ্রুতগতিতে বল করত, ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলত। তখন আমি দেখেছি একটা কৃষ্ণাঙ্গ দল অপ্রতিরোধ্য ছিল। তখনই বাউন্সারের নিয়ম নিয়ে আসা হয়। আমি যেটা মনে করি এটা কেবলই কৃষ্ণাঙ্গদের সাফল্যের পথে বাঁধা সৃষ্টির নিমিত্তে।’
‘আমি ভুল হতে পারি, তবে আমি ব্যাপারটাকে এভাবেই দেখি।’
কিছুদিন আগে ড্যারেন স্যামি জানিয়েছিলেন গায়ের বর্ণের কারণে তারা কখনোই যোগ্য সম্মান পান না। এমনকি আইপিএলে তাকে সতীর্থরা কালু বলে ডাকত। তখন এর অর্থ জানতেন না স্যামি। যখন অর্থ জেনেছেন তখন খুবই রেগে গিয়েছেন বলে জানান তিনি।