

তাকে বল হয় টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণে নানা অর্জন যে তার হাতে লেখা। ধুম ধাড়াক্কা ক্রিকেটে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া ক্রিস গেইল অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটেও সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন ভালোভাবেই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি নয় গেইলের সবচেয়ে বেশি গড় টেস্টে (৪২.১৮)। তবে ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণ নিয়ে বরাবরই অনাগ্রহের কথা জানিয়ে আসা গেইল এবার নিজের বোল পাল্টালেন।
টেস্ট ক্রিকেটে তরুণদের উৎসাহী করতে সাফাই গাইলেন বেশ ভালো ভাবেই। এমনিতে ১০৩ টি টেস্ট খেলা গেইলের পরিসংখ্যান সমৃদ্ধই বলা যায়। ৪২.১৮ গড়ে ৭২১৪ রান করেছেন, আছে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির সাথে দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরিও। কিন্তু টেস্ট নিয়ে খুব একটা আবেগ দেখা যেতনা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের মধ্যে। টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিতদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার নজিরও আছে।
২০১৪ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলা ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব এবার বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে টেস্ট ক্রিকেট এমন একটি ফরম্যাট যা জীবনের অসঙ্গতি বুঝতে সাহায্য করে। বিসিসিআইয়ের অনলাইন শো ‘ওপেন নেট’ এ ভারতীয় ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সাথে আলাপে এমন বার্তা দেন গেইল। টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতার কাছে বাকি সব ম্লান বলেও মনে করেন বিষ্ফোরক এই ব্যাটসম্যান।
৪১ ছুঁইছুঁই বয়সের বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটই চূড়ান্ত। টেস্ট ক্রিকেট খেলাটা আপনাকে একটা সুযোগ দিবে। কীভাবে জীবনে টিকে থাকতে হয় কারণ পাঁচ দিন ধরে ক্রিকেট খেলাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এটি অনেকবার আপনার পরীক্ষা নিবে। নিশ্চিত করুন সবকিছুতে আপনি শৃঙ্খলাবদ্ধ আছেন। এটি আপনাকে শেখায় কীভাবে কঠিন পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসতে হয়।’
১৩ হাজারের বেশি টি-টোয়েন্টি রানের মালিক গেইল টেস্ট খেলতে উৎসাহী করছেন তরুণদেরও, ‘টেস্ট ক্রিকেট আপনার দক্ষতা ও মানসিক দৃঢ়তার পরীক্ষা নিবে। শুধু নিবেদিত হন, আপনি যা করছেন তা উপভোগ করুন। এমনকি এটি শুধু খেলাধুলা নয় অন্য ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করুন। দেখবেন সেখানে কিছু না কিছু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।’
‘সুতরাং একটি সুযোগ কাজে না আসলে মনে রাখবেন আপনার জন্য আরেকটি সুযোগ অবশ্যই আছে। তাই দয়া করে হতাশ হবেন না। যদি আপনি ক্রিকেটার হন এবং এই ক্ষেত্রে কিছু করতে নাও পারেন।’