

চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধের জেরে চীনা পণ্য বর্জনসহ নানা ধরণের প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয়দের। আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর চীনা মোবাইল কোম্পানি ‘ভিভোর’ সাথে চুক্তি নিয়েও বিসিসিআইয়ের দিকে আঙুল তুলছে দেশটির জনগণ। তার প্রেক্ষিতেই আইপিএল স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হওয়া চীনা কোম্পানিগুলোর চুক্তি পর্যালোচনা করতে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ভারতীয় বোর্ড। যদিও একদিন আগে বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ জানিয়েছেন চায়না কোম্পানির সাথে চুক্তি করা মানে ভারতেরই লাভ।
পাঁচ বছরের চুক্তিতে ‘ভিভোর’ কাছ থেকে বার্ষিক ৪৪০ কোটি রুপি পেয়ে থাকে বিসিসিআই। যার একটা অংশ কর হিসেবে চলে যায় সরকারি কোষাগারে। ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অবনতি হলেও এসব চুক্তি ভারতের জন্য লাভজনক বলে ব্যাখ্যা দেন বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল। যা প্রকৃতপক্ষে চীন নয় ভারত সরকারকেই সমর্থন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কিন্তু একদিনের ব্যবধানেই আইপিএলের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে জানানো হয় বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। আগামী সপ্তাহে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে লেখা হয়, ‘সীমান্ত বিরোধ যা আমাদের সাহসী জওয়ানদের শাহাদাত বরণের কারণ হয়েছে। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আগামী সপ্তাহে আইপিএলের বিভিন্ন স্পন্সরশিপ চুক্তি পর্যালোচনার জন্য বৈঠক ডেকেছে।’
Taking note of the border skirmish that resulted in the martyrdom of our brave jawans, the IPL Governing Council has convened a meeting next week to review IPL’s various sponsorship deals ????????
— IndianPremierLeague (@IPL) June 19, 2020
বোর্ডের একটি সূত্র অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে চীনের মূল কোম্পানি ছাড়াও যেসব কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব আছে সেসব নিয়েও আলোচনা হবে। বিশেষ করে পেটিএম, ড্রিম ইলেভেন এর মত কোম্পানিগুলোর চুক্তিও পর্যালোচনা হবে। ৩২৬ কোটি রুপির বিনিময়ে পেটিএম ভারত জাতীয় দলের সাথেও পাঁচ বছরের চুক্তিতে আছে।
সূত্রটি জানায়, ‘এটা সত্য যে আইপিএলের কেন্দ্রীয় স্পন্সরগুলো বাড়টি অর্থায়নে ভূমিকা রাখে তাদের সম্প্রসারণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। যা চীনের কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে আসে। সুতরাং বৈঠকে এ ধরণের সব বিষয়ই আলোচনায় আসবে।’