

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এর চেয়ারম্যান এহসান মানি মনে করেন চলতি বছরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব নয়। যদিও এই টুর্নামেন্ট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে, এহসান মানি মনে করছেন বিশ্বকাপ ১ বছরের জন্য পিছিয়ে যাবে।
এর আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস বলেছিলেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সঠিক সময়ে আয়োজনের চিন্তা অবাস্তব। সেই সুরেই কথা বললেন এহসান মানি।
ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি এটা এই বছরে মাঠে গড়ায় তাহলে তা বায়ো বাবল পরিবেশে হবে। যেমনটা পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরে হবে। দল আসবে, হোটেলে থাকবে, কোন দর্শক থাকবে না। এই ব্যবস্থা এক বা দুইটি দলের ক্ষেত্রে সহজ কিন্তু যখন ১২ থেকে ১৬ টি দল একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলবে তখন এটা কার্যত অসম্ভব। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমি মনে করি না এই বছর আইসিসি ইভেন্ট হতে পারে।’
আইসিসির ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সভাপতি এহসান মানি। এই কমিটির ছয় সদস্যের একজন আর্ল এডিংস। এই এফঅ্যান্ডসিএ কমিটিই বৈশ্বিক ইভেন্টের বাজেট নির্ধারণ করে থাকে।
গত দুই মাসে আইসিসি কর্তারা টেলি কনফারেন্সে একাধিক সভা করেছে। তবে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। আগামী মাসের শুরুতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার কথা।
এহসান মানির মতে এক বছরের জন্য পিছিয়ে যাবে বিশ্বকাপ, ‘আমার মতে এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এক বছরের জন্য পিছিয়ে যাবে। টুর্নামেন্টের মাঝখানে যদি কোন খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে যায় (করোনার কারণে) তাহলে সবার মাঝে ভয় ছড়িয়ে পড়বে। আমরা সেই ঝুঁকি নিতে পারি না।’
পূর্বের সূচি অনুযায়ী ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ এ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর কথা। সেক্ষেত্রে এবারের বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলে ২০২২ এ অনুষ্ঠিত হবে একটি আসর।
এহসান মানি যোগ করেন, ‘আগামী ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত এসে যাবে। আগামী সপ্তাহেই আমাদের এক কনফারেন্স কল আছে। প্রথম কোন ইভেন্ট মাঠে গড়াবে তা নিয়ে নিশ্চয়ই আমরা ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারব। আমাদের দেখতে হবে অস্ট্রেলিয়া আগে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে নাকি ভারত। সেই অনুযায়ী ২০২২ এ কারা আয়োজক হবে তা নির্ধারিত হবে।’