

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তিন লঙ্কান ক্রিকেটারের তদন্ত চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আইসিসি তাদের নাম এখনই প্রকাশ না করলেও শ্রীলঙ্কান ক্রীড়া মন্ত্রী দুল্লাস আলাহাপ্পেরুমা জানিয়েছিলেন এই খবর। বর্তমান না সাবেক ৩ ক্রিকেটারের তদন্ত চলছে তা মন্ত্রী না জানালেও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বলছে বর্তমান জাতীয় দলের অংশ এমন কোন ক্রিকেটার নন তারা।
লঙ্কান বোর্ড থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মাননীয় মন্ত্রী যে ৩ ক্রিকেটারের উল্লেখ করেছেন তারা বর্তমান কোন ক্রিকেটার নয়, শ্রীলঙ্কার সাবেক তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে, আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট তদন্ত করছে।’
দ্বীপ রাষ্ট্রটি এমনিতে ফিক্সিং ইস্যুতে বেশ কঠোর অবস্থান নেয়। গত বছর সংসদে বিল পাশ করে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকাদের শাস্তি ও বিধি নিষেধকে আরও কঠিন করা হয়েছে।
খেলাধুলা ইভেন্টে বাজি ধরা শ্রীলঙ্কায় আগে থেকেই অবৈধ। নতুন নিয়মে বিদেশি কোন প্রতিযোগিতামূলক খেলাতেও জুয়া খেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ডের সাথে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ডলার জরিমানা গুণতে হতে পারে।
নতুন আইনানুসারে জুয়া ব্যবসার সাথে জড়িত পরিবারের লোকজনকে ক্রিকেট গভর্নিং কমিটিতে আসার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের সাবেক সভাপতি থিলঙ্গা সুমাতিপালাকে উদ্দেশ্য করেই এই বিধান যুক্ত করা হয়। তার পরিবার জুয়া ব্যবসায়ের সাথে জড়িত থাকা সত্বেও তিনি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
সীমিত ওভারের একটি টুর্নামেন্টে ফিক্সিং কান্ডে জড়ানোয় দেশটির সাবেক পেসার দিলহারা লোকুহেটিজকে ২০১৮ সালে নিষিদ্ধ করে লঙ্কান বোর্ড। দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটার সনাথ জয়সুরিয়া ও পেসার নুয়ান জয়সার পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে লোকুহেটিজকে শাস্তির আওতায় আনা হয়।
যাদের মধ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচক সনাথ জয়সুরিয়াকে ফিক্সিং তদন্তে সাহায্য না করার অপরাধে দুই বছরের জন্য ও পেসার জয়সাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়।