

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর (ডব্লিউএফপি) গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হলেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। এর ফলে সংস্থাটির সকল কার্যক্রম খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি, যা তুলে ধরবেন দেশের সাধারণ মানুষের কাছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর মূল লক্ষ্য সরকারের সহযোগীতায় ক্ষুধা শূন্যতা অর্জন করা। দেশের ৬৪ জেলায় স্কুল পর্যায়ে খাদ্য সরবরাহ, পুষ্টি ও জীবিকা নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে ডব্লিউএফপি।
১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে জাতিসংঘের এই বিভাগটি। ২০১৯ সালে ১.৭ মিলিয়ন মানুষকে সাহায্য করেছে তারা, সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত দেশের ১৫৫ মিলিয়ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ডব্লিউএফপি।
এই কর্মসূচীর অংশ হওয়া তামিম বলেন, ‘আমি জাতিসংঘের সংস্থা ডব্লিউএফপি-র জাতীয় গুডউইল রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এই সংস্থাটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার জন্য কাজ করে চলেছে।’
‘যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় মাত্রায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তবুও দারিদ্র্যের হার এখনও প্রকট, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে। চলমান কোভিড-১৯ মহামারী অনেকের জীবনকেই আরও বেশী সংকটময় করে তুলেছে। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করার আশা রাখি, যাতে ডব্লিউএফপি ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে সহযোগিতা প্রয়োজন এমন সব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে।’
I am honoured to be named National Goodwill Ambassador for @WFP, the @UN agency that fights hunger worldwide, including in Bangladesh.
I look forward to joining hands with WFP in its mission to fight hunger even during #COVID19 crisis.
Thanks @rraganwfp for this opportunity. pic.twitter.com/Ek7hPmgDjx
— Tamim Iqbal Khan (@TamimOfficial28) June 1, 2020
এদিকে সংস্থাটির আঞ্চলিক প্রতিনিধি ও পরিচালক রিচার্ড রাগান বলেন, ‘একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে, দেশে ও দেশের বাইরে মানুষের ভালোবাসার পাত্র হিসেবে বা তার জনপ্রিয়তার জন্য সে আমাদের সাথে যুক্ত হয়নি বরং তার কাজের প্রতি অবিশ্বাস্য নৈতিকতা মমত্ববোধ ও মানবিক চেতনা দিয়েই আমাদের সাথে কাজ করবেন। তার আমাদের সাথে যুক্ত হওয়া সত্যি রোমাঞ্চিত করছে।’