সিদ্ধান্তটা মাশরাফিই নিক

featured photo1 1 13
Vinkmag ad

চিত্র ফলাফল

শেষ ক’দিন ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটপাড়ায় মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়। পারফর্ম্যান্সটা ছাপিয়ে বয়সের কথা বারবার চলে আসছে সামনে। যদিও দিব্যচোখে দেখলে এটা পরিষ্কার যে ইনজুরি আক্রান্ত দুই পায়ে বল হাতে নিয়মিত নৈপুণ্য দেখানোর সাথে সাথে অধিনায়কত্বের জায়গাটায় তার উপরে কেউ নেই। 

২০১৯ সালের বিশ্বকাপকে মাথায় রেখেই সমালোচকদের যত সমালোচনা। মাশরাফি কি পারবেন ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য সেই বিশ্বকাপে লাল-সবুজ দলের নেতৃত্ব দিতে, যদি নাই পারেন তবে কেন এখনও অধিনায়ক তিনিই? ইত্যাদি নানা প্রশ্নের সামনে পুরো ক্রিকেট বোর্ডই।

সদ্যই এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন মাশরাফির টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে একটি প্রক্রিয়া শুরুর কথা। তবে মাশরাফিকে সরিয়ে দেয়া হবে এমন কোন ইঙ্গিতই দেননি পাপন।

বরং এক বোর্ড পরিচালক বলেছেন, ‘ফর্ম আর ইনজুরি নিয়ে নতুন কোন সমস্যা না হলে মাশরাফির খেলা চালিয়ে যাওয়াতে কোন সমস্যা দেখেনা বিসিবি।’ আর ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলেছেন, ‘ও একজন সফল অধিনায়ক, বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি। মাশরাফির ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত তাকেই নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। ক্যারিয়ার নিয়ে ও যে সিদ্ধান্ত নেবে, সবার সেটাই মেনে নেওয়া উচিত।’

যাকে নিয়ে এত আলোচনা এবার মুখ খুললেন সেই মাশরাফি বিন মর্তুজাও। দলের দায়িত্ব নিয়ে চিন্তিত নন মাশরাফি। এই ব্যাপারটা বিসিবির উপর ছেড়ে দিয়েছেন বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ানডে কাপ্তান। তিনি বলেন, ‘পারফর্ম্যান্সের যতদিন কোন সমস্যা না হচ্ছে ততদিন আমি খেলে যাবো। আর এখন যেমনটা খেলছি তাতে উপভোগই করছি ক্রিকেটটাকে। বিসিবির কাছে অধিনায়কত্ব আমি চেয়ে নেইনি, তারাই আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। তাই বিসিবি চাইলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতেই পারে।’

অধিনায়কত্ব নয় বরং মাশরাফির কাছে ক্রিকেটটাই আগে। ‘অধিনায়কত্বের জন্য ক্রিকেট খেলিনা আমি। আমি একজন খেলোয়াড় তাই ক্রিকেট খেলি। ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা বললে এখানে ফিটনেসটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফর্মও ভালো থাকতে হবে। এ দুটো ঠিক থাকলে ২০১৯ বিশ্বকাপ আমি কেন খেলতে চাইব না! সব ঠিক থাকলে অবশ্যই আমার তত দিন খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।’

একজন খেলোয়াড় হিসেবে মাশরাফির বিকল্প পেতেই পারে বাংলাদেশ। কিন্তু নেতা হিসেবে মাশরাফির জায়গায় অন্য কাউকে বসাতে স্বয়ং মাশরাফির সবচেয়ে বড় নিন্দুকেরও বাঁধবে। চোট বা পারফর্ম্যান্সের অবনমন যাই হোক না কেন, ম্যাশের জায়গায় অধিনায়ক হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের কাপ্তান এবং ওয়ানডে সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই হবেন বোর্ডের প্রথম পছন্দ এটি অনুমেয়ই।

কিন্তু প্রয়োজনীয় সময়ে মাশরাফির জায়গায় বল হাতে দৌড়াবে কে সেটাই ভাবার বিষয়। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়কের নিজেকে নিয়ে সিদ্ধান্তটা নিতে দেয়া হোক তাকেই।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

ত্রিনিবাগোর সাথে আনুষ্ঠানিক চুক্তি মিরাজের

Read Next

খুলনার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত মাহেলা

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Total
0
Share