

বিশ্বের যেকোন অধিনায়কই সাকিব আল হাসানের মত অলরাউন্ডারকে নিজের সেরা একাদশে দেখতে চাইবেন। একজন নিখাদ বোলার ও ব্যাটসম্যানের সমন্বয় খুব কম ক্রিকেটারের মধ্যেই থাকে যা সাকিবকে করেছে অন্যদের চেয়ে আলাদা। তথ্য গোপনের অভিযোগে এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন এই টাইগার অলরাউন্ডার। তার জায়গায় টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়া মুমিনুল হক বলছেন সাকিব ফিরলে অনেক বড় স্বস্তি মিলবে তার। করোনায় খেলা পেছানোতে সাকিববিহীন মাঠে নামতে হচ্ছেনা বলে কিছুটা খুশিও বাংলাদেশের টেস্ট কাপ্তান।
গত নভেম্বরে ভারত সিরিজের ঠিক আগ মুহূর্তেই আইসিসির নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয় সাকিবের উপর। ফলে হুট করেই টেস্ট অধিনায়কত্বের ভার উঠে গায়ে টেস্ট ক্রিকেটার তকমা লেগে যাওয়া মুমিনুলের কাঁধে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ফেরা মানেই দলের কম্বিনেশন ঠিক হওয়া ও সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে সাহায্য পাওয়া। মুমিনুলের চোখে সাকিবের ফেরাটা তার জন্য গুরত্বপূর্ণের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ।
সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ‘নট আউট নোমান’ ইউটিউব চ্যানেলে গতকাল (২৬ মে) অতিথি হিসেবে ছিলেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। সাকিব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যতটা গুরুত্বপূর্ণ বলছেন তার চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে মনে হয়। কারণ সাকিব ভাই থাকলে আপনার দুটো প্লেয়ার, একটা ব্যাটসম্যান, একটা বোলার। এই হিসাবে চিন্তা করলে সাকিব ভাইয়ের বিকল্প বিশ্বেও নাই। আসলেই নাই, হয়তো দুই-একজন আছে।’
‘তো একটা অধিনায়কের জন্য দল সাজানো অনেক সহজ হয়ে যায়। আপনি যেকোন সময় যেকোন জায়গায় একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিতে পারেন, একজন বাড়তি বোলার নিতে পারেন। সে হিসেবে এটা অধিনায়কের জন্য বেশ ইতিবাচক।’
করোনায় স্থগিত হয়েছে টাইগারদের বেশিরভাগ সিরিজ। আর এমনটা শুনে আনন্দিতই হয়েছেন মুমিনুল কারণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে খেলা মাঠে ফিরতে ফিরতে সাকিবের নিষেধাজ্ঞাও উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার আগে শুর হলেও খুব বেশি ম্যাচ মিস করতে হবেনা সাকিবকে।
বাংলার ব্র্যাডম্যান খ্যাত মুমিনুল যোগ করেন, ‘আমি যখন শুনেছিলাম করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের সিরিজগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে একদিক থেকে আমারও কিছুটা স্বস্তি, খুশি খুশি লাগছিল। কারণ ততদিনে সাকিব ভাইয়ের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে ইন শা আল্লাহ। তো ঐ হিসাবে আমরা সাকিব ভাইকে হয়তো পাবো।’
‘এটা আমার জন্য ভালো, একজন অধিনায়ক হিসেবে বিরাট বড় স্বস্তিদায়ক চিন্তা আমার কাছে মনে হয়। একটা রিলিফ হয় যদি সাকিব ভাই থাকে, একজন ব্যাটসম্যান ও একজন বোলার পাবো। সিনিয়র হিসেবেও অনেক সাহায্য পাওয়া যাবে। সাকিব ভাই হল এমন একজন প্লেয়ার যাকে আপনার জিজ্ঞেস করতে হবে না। আমি জিজ্ঞেস করলে হয়তো অনেক কিছু বলে দেয় কিন্তু উনি এমন যে অপ্রোয়জনে কিছু বলেনা। তিনি যখন যেটা প্রয়োজন সেটাই বলবে। ওভাবে চিন্তা করলে এটা আমার জন্য অনেক সহজ হবে।’