করোনায় থমকে গেছে আকবরদের নিয়ে কোটি টাকার প্রকল্প

আকবর আলি নাজমুল হাসান পাপন
Vinkmag ad

ইতিহাস গড়া যুব বিশ্বকাপ জয় করে দেশে ফেরা আকবর আলিদের সংবর্ধনা দেওয়ার দিনই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ঘোষণা দেন তাদের উপযুক্ত যত্ন নিতে গড়ে তোলা হবে অনূর্ধ্ব-২১ দল। তবে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের প্রধান ও যুব দলের সাফল্যের পেছনের কারিগর খালেদ মাহমুদ সুজন বলছেন পরিকল্পনা ছিল আরও বড় কিছুর। ইংল্যান্ডে তিন মাসের ক্যাম্পের পাশাপাশি ম্যাচ খেলাতে পাকিস্তান সফর নিয়েও হচ্ছিল আলোচনা। কিন্তু সবমিলিয়ে কোটি টাকার বেশি বাজেটের প্রকল্প থমকে গেছে করোনা ভাইরাস প্রভাবে।

গতকাল (২৬ মে) সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব চ্যানেল ‘নট আউট নোমান’ এর লাইভ আড্ডায় অতিথি হিসেবে ছিলেন বিসিবি পরিচালক, গেম ডেভেলপমেন্ট প্রধান ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। গেম ডেভেলপমেন্টের প্রধান হিসেবে যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের ভাবনা, পরিকল্পনা সবকিছুতেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। পরবর্তী ধাপে তাদের প্রতিভাকে বিকশিত করা ও সঠিক পথে পরিচালনার দায়িত্বও অনেকটা তার উপরই। আর সেভাবে পরিকল্পনাও সাজিয়েছেন আকবর, শরিফুল, মাহমুদুল, ইমনদের নিয়ে।

খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘ধীরে ধীরে এগোতে চাই ওদের নিয়ে। বোর্ডের যে পরিকল্পনা ছিল তাদের নিয়ে অনূর্ধ্ব-২১ একটা দল গঠন করবো। মানসিকভাবে আমি যেটা প্রস্তুত করছিলাম বা কয়েকজনের সাথে আলাপও করেছি সেটা হল আমি চাচ্ছিলাম না অফ সিজনে তাদেরকে দেশে রাখতে। আমি চাচ্ছিলাম তাদেরকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে… আমরাতো বিনিয়োগ করতে চাই। বোর্ড বলেছে কোন অসুবিধা নাই করো, ভালো কিছু করো। আমি ইংল্যান্ডেও আলাপ করেছি , বিভিন্ন কাউন্টির সাথে আলাপ করছিলাম যে কীভাবে আমরা ছেলেগুলোকে লম্বা সময় ওখানে রাখতে পারি।’

‘দুই-তিন মাস ওখানে তারা অনুশীলন করবে, ম্যাচ খেলবে। অস্ট্রেলিয়াতেও আমরা কথা বলেছি। কিন্তু করোনার কারণে আমরা অনেকটা পিছিয়ে গেলাম। কারণ আমাদের অফ সিজনটা মূলত শুরু হওয়ার কথা ছিল জুন-জুলাই-আগস্টে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল তিন মাস ওখানে থাকবো। পাকিস্তানে একটা ট্যুরের ব্যাপারে কথা ছিল। পাকিস্তানে কেন খেলতে চেয়েছি কারণ ওখানে খেলা কঠিন, ভালো মানের পেসার থাকে। তো এখন সবকিছু পুনরায় ঠিক করতে হবে।’

প্রকল্প বাজেট সম্পর্কে বলতে গিয়ে গেম ডেভেলপমেন্ট প্রধান যোগ করেন, ‘বিদেশি কোচরা সহজে বাংলাদেশে আসতে চায়না। তো আমরা চেয়েছি যে যদি ইংল্যান্ডে যাই তাহলে বিশেষজ্ঞ কোচদের আমন্ত্রণ করতে পারবো। দুই সপ্তাহ বা এরকম সময়ের জন্য ব্যাটিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ ও বোলিং কোচকে নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম।’

‘তো কোচদের পারিশ্রমিক, ক্রিকেটারদের থাকা, খাওয়া, বিমান সব মিলিয়ে ১ কোটি বা তার চাইতে বেশি টাকা লাগতো। যেটা আমাদের প্রাথমিক একটা বাজেট ছিল। আসলে এখানে টাকার কথা চিন্তা করাটা ভুল। আমরা যদি জাতীয় দলকে আরও শক্তিশালী করতে চাই তাহলে টাকার চিন্তা করলে হবেনা যথেষ্ট বিনিয়োগ করতে হবে এদের ভালো ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলতে।’

করোনার কারণে সবধরণের খেলাধুলা স্থগিত, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খেলতে হতে পারে প্রিমিয়ার লিগ। ফলে আক্ষরিক অর্থেই যুবাদের নিয়ে খালেদ মাহমুদের পরিকল্পনা অনেকটা পিছিয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ বছর আসলে কখন খেলা শুরু হয় আমরা জানিনা। যদি শুরু হয় এই ছেলেগুলো অনেকেই প্রিমিয়ার লিগ খেলছে ঐ সময় আবার তাদেরকে পাঠানোও যাবেনা। সত্যিকার অর্থেই ওদের নিয়ে আমরা এ বছরটা পিছিয়ে গেলাম।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

সাকিবের শৈশবের হিরো ছিলেন যারা

Read Next

নিষিদ্ধ হলেন লঙ্কান পেসার

Total
22
Share