

আমরা সবাই জানি মুশফিকুর রহিমের ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা, কঠিন পরিশ্রম, সঠিক টেকনিক ও ঘুরে দাড়াবার ক্ষমতা তাকে অন্য সবার থেকে এগিয়ে রাখে। মুশফিক শুধু ক্রিকেট খেলেনেই না, তার আছে এই খেলাটার প্রতি প্রচন্ড সম্মান । ক্রিকেটের প্রতি তার যে মনোযোগ এবং একাগ্রতা, এই সব গুণ গুলো, শুধুমাত্র দেখা যায় একজন তুখোড় শিল্পীর মধ্যে।
সমর্থকদের কাছ থেকে এমন সমর্থন ও ভালবাসা পাওয়াটাকে তিনি সৌভাগ্য হিসাবে দেখেন। কীর্তিমানদের কাছে তার প্রতি সমর্থকদের এই আবেগ, ভালাবাসা একটা বাড়তি শক্তি হিসাবে কাজ করে।
মুশফিক ক্রিকেটের প্রতি তার দায়িত্ববোধ খুব ভাল ভাবেই পালন করেন, কারণ তিনি জানেন এই খেলায় উৎকর্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমেই তিনি সমর্থকদের মনে জায়গা করে নিবেন এবং আজীবন বেচে থাকবেন।
তিনি বিশ্বাস করেন তার সফলতা ও আজকের এ্ই অবস্থানের পেছনে তার সমর্থকদের দোয়া ও ভালবাসা বিশাল ভূমিকা রেখেছে।
মুশফিকুর রহিম তার সমর্থকদের কতোটা গুরুত্ব সহকারে নেন, এটা প্রতিফলিত হয় তার অটোগ্রাফ স্বাক্ষরের ধরন দেখে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এসে মুশফিক বলেছিলেন ফটোগ্রাফের চেয়ে অটোগ্রাফ তার বেশি পছন্দ।
যদি কোন ব্যক্তির স্বাক্ষরে তার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পেয়ে থাকে, তাহলে আমি বলবো মুশফিক যেভাবে স্বাক্ষর করেন তাতে অনেকাংশেই তার পরিপাটি, পরিশ্রমী এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়।
মুশফিক সব সময়, মানে সব সময় অটোগ্রাফ স্বাক্ষরের ব্যপারে পূর্ণ গুরুত্ব দিয়ে তা করেন, যেখানে অনেক তারকাই দ্রুততার সাথে তা করে ফেলেন। অটোগ্রাফের স্বাক্ষর করাটা তার কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তিনি সেটা করেন নিখুত ভাবে এবং মনোযোগ সহকারে।
তিনি অটোগ্রাফ দেওয়ার সময় এমন মনোযোগ দেন যেমন মনোযোগ তিনি কোন বোলারের প্রতি দেন, তার পরবর্তী বল করার জন্য দৌড় শুরুর সময় থেকে।
তার অটোগ্রাফ খুবই দৃষ্টিনন্দন এবং সব সময়ই তা একই রকম, পরিষ্কার, ঝকঝকে এবং নিখুত। সমর্থকদের আবেগ ও ভালোবাসার প্রতি এরূপ সম্মান দেওয়া মুশফিককে ধন্যবাদ।
লেখা ও ছবিঃ জুনায়েদ পাইকার- সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ)।