

১৯৮৯ সালের ২০ মার্চ তামিম ইকবালের জন্ম। ক্রীড়া পরিবারে জন্ম নেওয়া তামিম ক্রিকেটটা বুঝতে শেখেন ১৯৯৬ সালে এসে। তামিমের শৈশবের নায়ক ছিলেন লঙ্কান ড্যাশিং ওপেনার সনাথ জয়সুরিয়া।
১৯৯৬ সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিশ্বকাপ জেতে শ্রীলঙ্কা। যাতে বড় অবদান ছিল মাতারা হারিকেন নামে খ্যাত সনাথ জয়সুরিয়ার। মারকুটে এই ব্যাটসম্যান ছিল তামিমের শৈশবের নায়ক। যদিও এতে ছিল বড় ভাই নাফিস ইকবালের প্রভাব।
নট আউট নোমান নামে ইউটিউব চ্যানেলে তামিম বলেন, ‘আমি ১৯৯৬ সালের আগে ক্রিকেট টা হয়তো ব্যাট-বল নিয়ে খেলতাম ঠিকই। কিন্তু ১৯৯৬ এ আমি আমার নানি বাড়িতে ছিলাম। তখন ভাইয়া আমাকে টিভির সামনে নিয়ে যেয়ে ক্রিকেট খেলাটা বুঝালো, যে ক্রিকেট খেলাটা কি। তখন টিভিতে শ্রীলঙ্কার খেলা চলছিল, ভাইয়া আমাকে বলল শ্রীলঙ্কাকে সাপোর্ট করবা। ভাইয়ার থেকেই আমি শ্রীলঙ্কার সাপোর্ট করা শিখলাম।’
তামিম জানান শ্রীলঙ্কার সাথে জয়সুরিয়া প্রেমও শুরু ভাইয়ের কারণে।
‘ভাইয়ার কাছ থেকেই সনাথ জয়সুরিয়াকে সাপোর্ট করা শিখলাম। ভাইয়া বলেছিল যে সে অনেক মারে, এই করে, সেই করে। বারান্দায় আমি খেলতাম এবং নিজেকে সনাথ জয়সুরিয়া মনে করে মারতাম। আর বলতাম জয়সুরিয়া ব্যাট করছে। সনাথ জয়সুরিয়া ছিল আমার কাছে হিরো ঐসময়।’
শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৯৮৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১১০ টেস্ট, ৪৪৫ ওয়ানডে ও ৩১ টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সনাথ জয়সুরিয়া। ৫০ বছর বয়সী সাবেক এই লঙ্কান গ্রেটের তিন ফরম্যাটের রান যথাক্রমে ৬৯৭৩, ১৩৪৩০ ও ৬২৯। তিন ফরম্যাট মিলে জয়সুরিয়ার নামের পাশে আছে ৪২ টি সেঞ্চুরি।
সনাথ জয়সুরিয়ার পর যুবরাজ সিং, মাইকেল হাসিদের খেলাও মনে ধরেছিল তামিমের, তবে জয়সুরিয়ার মতো প্রভাব ছিল না কারো।
তামিম বলেন, ‘এরপর অনেক ব্যাটসম্যানই আসছে, যুবরাজ সিং ছিল যাকে আমি ব্যাটিং করতে দেখতে অনেক পছন্দ করতাম। মাইকেল হাসি ছিল।’