

বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম দুই স্তম্ভ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারেন দুজনেই। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ব্যাটে বলে সমান তালে পারফরম্যান্স করে আসছেন টাইগারদের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান, বিশ্ব ক্রিকেটেই নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। অন্যদিকে গড়পড়তা ক্যারিয়ার শুরু করা মুশফিকুর রহিম খেলার প্রতি তার নিবেদন, পরিশ্রমের মিশেলে নিজেকে তুলে এনেছেন বিশ্বমানের খেলোয়াড় হিসেবে।
বর্তমানে ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করা উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিককে দলের সবচেয়ে সুশৃঙ্খল খেলোয়াড় বলা হয়। অন্যদের মত প্রকৃতি প্রদত্ত প্রতিভার অধিকারী না হয়েও নিজের একাগ্রতা আর প্রতিনিয়ত উন্নতির চেষ্টা মুশফিককে করেছে দলের অন্যতম ভরসার প্রতীক। নামের পাশে যোগ হয়েছে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ ট্যাগ।
জাতীয় দলের নতুন ওয়ানডে কাপ্তান তামিম ইকবালের কাছে সাকিব-মুশফিক দুজনেই সেরা তবে তরুণদের আইডল হিসেবে বেছে নিয়েছেন মুশফিককেই। মূলত তার সুশৃঙ্খল জীবন যাপন আর নিজেকে প্রস্তুত করার ধরণের কারণেই তামিমের চোখে বন্ধু মুশফিকই এগিয়ে।
সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ‘নট আউট নোমান’ ইউটিউব চ্যানেলে গতকাল (২৪ মে) অতিথি হিসেবে লাইভ আড্ডায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘আমি সবসময় বলে এসেছি মুশফিক এমন একজন প্লেয়ার যাকে আমরা আইডলাইজ করতে পারি। তরুণ প্লেয়ার যদি বর্তমানে বাংলাদেশের কাউকে আইডল হিসাবে দেখতে চায় তাহলে আমি সবসময় মুশফিকের নাম বলি।’
তামিম-সাকিব দুজনেই নিঃসন্দেহে দলের সেরা পারফর্মার, তবে আইডল হতে শুধু পারফরম্যান্সই সব নয় বলে মনে করেন দেশসেরা ওপেনার,
‘সেরা প্লেয়ার যদি বলেন কোন সন্দেহ নেই সাকিবের নাম বলতেই হয়। ওর মতো পারফরম্যান্স হয়তো বা অন্য কেউ এখনো করেনি। মুশফিকের নাম আমি এ কারণেই বলছি, শুধু পারফরম্যান্সেই সবকিছু হয়না।’
‘যেভাবে সে নিজেকে প্রস্তুত করে, যেভাবে সে নিজেকে পরিচালনা করে, যেভাবে সে ফিটনেস নিয়ে সিরিয়াস। আমরা সবাই সিরিয়াস, সাকিবও সিরিয়াস। কিন্তু ও হয়তো আমাদের থেকে একটু বেটার। এ কারণে আমি বলি মুশফিককে যদি আইডল হিসাবে দেখা হয় তাহলে এটা খুব ভাল।’