

ম্যাচ ফিক্সিং কান্ডে বরাবরই খবরের শিরোনাম হয়েছে পাকিস্তান। তবে এই অন্যায় কাজের শেকড় বিস্তৃত গোটা বিশ্বজুড়েই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ (এপিএলে) ফিক্সিং চেষ্টায় সম্প্রতি ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন আফগানিস্তানের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান শফিকউল্লাহ শাফাক।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালের সাথে আলাপে ফিক্সিং ইস্যুতে আলাপ করেন পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা। শফিকউল্লাহ ইস্যু টেনে ফিক্সিং নিয়ে তামিমের ভাবনা জানতে চান রমিজ। তামিমের সোজা উত্তর ক্রিকেটকে ভালোবাসলে এমন কান্ডে জড়াতে পারেনা কেউ।
ফিক্সিং এর সাজা ও কড়া নজরদারিতে আইসিসির ভূমিকার প্রশংসা করে তামিম বলেন, ‘আমি মনে করি আইসিসি যথেষ্ট করছে। আইসিসি সবাইকেই শেখাচ্ছে। আমরা সবাই জানি, প্রতিটি সিরিজ আমরা খেলছি, আমাদের এই ব্যাপারে শিক্ষা দেয় আইসিসি ও দুর্নীতি দমন ইউনিট। সুতরাং ক্রিকেটারদের জানা উচিত কী করা উচিত আর কী করা উচিত না।’
‘এর পরও যদি কেউ যদি জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা নেয়, তাহলে বিষয়টা ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। যদি সে ক্রিকেট ভালোবাসে, দেশকে ভালোবাসে, খেলাটার প্রতি আবেগ কাজ করে, তাহলে আমার মনে হয় না সে এই কাজ করবে।’
আফগানিস্তান উইকেট রক্ষক শফিকউল্লাহ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তামিম যোগ করেন, ‘আপনি মাঝে মাঝে এটা থামাতে পারবেন না। আফগানিস্তানের একজন ক্রিকেটার শাস্তি পেয়েছে (বিপিএল ও এপিলে ফিক্সিং চেষ্টার কারণে)। আমি মনে করি বিসিবি ও বিপিএল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে খুবই কড়াকড়ি অবস্থান নেয়। ফিক্সিং ইস্যুতে বিসিবি বেশ সচেষ্ট, আমাদের নিজস্ব দুর্নীতি দমন ইউনিট আছে। তারা আমাদের সব ক্রিকেটারকে এসব বিষয়ে শিক্ষা দেয়। কিন্তু বিদেশি কোন ক্রিকেটার এসে এমন কিছু করলে সেটা কঠিন। আমরা সবাই জানি আমাদের চারপাশে এই রকম মানুষ আছে। ওরা যেভাবেই হোক ফাঁদে ফেলতে চাইবে।’
‘তবে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। আপনাকে বুঝতে হবে আপনি আপনার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এক নম্বর ব্যাপার হলো, আপনি খেলা শুরু করেছেন কিন্তু খেলাটা পছন্দ করেন বলে। আর্থিক দিকটা আসে পরের দিকে। এটাও গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের তো পরিবারের দেখাশোনা করতে হয়। তবে প্রথমবার যখন ব্যাট ধরি তখন টাকার কথা ভেবে ব্যাট ধরিনি। ব্যাট ধরেছি খেলার প্রতি ভালোবাসা থেকে। কোনো অনৈতিক কাজ করার আগে এটা মাথায় রাখতেই হবে।’