
করোনা সংক্রমণের প্রভাবে ময়মনসিংহে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের জন্য জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ-তামিম-মুশফিক-মাশরাফিদের পক্ষ থেকে টিমবয় মোহাম্মদ নাসিরের মাধ্যমে পাঠানো হয় ত্রাণ সামগ্রী। কিন্তু এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে গিয়েই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের লোক কর্তৃক হা-ম-লার শিকার হন নাসির। ছি-ন-তা-ই হয় ৪৫ ব্যাগ ত্রাণ সামগ্রী।
নাসিরের বড় ভাইসহ ত্রাণ বিতরণের সাথে জড়িত বেশ কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লা-ঞ্চি-ত করা হয়। থানায় মামলা করতে গেলে সেখানেও ভোগান্তির শিকার হন তারা। দায়িত্বরত ওসি উল্টো জামাত-শিবিরের কর্মী বানিয়ে ফা-সি-য়ে দেওয়ার হু-ম-কিও দেন।
ঘটনাটি গত ৪ মে রাতে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের বাঙ্গালকান্দি ও সৈয়দপাড়ায় ত্রাণ বিতরণের সময় ঘটে। শুরুতে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানালেও মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহর সাথে আলাপের পর ৮ মে মামলা নেয় গফরগাঁও থানা। যদিও মামলা দায়ের করার পর এক সপ্তাহ পার হলেও গ্রেফতার হয়নি একজন আসামীও।
থানায় মামলা করতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হয় উল্লেখ করে জাতীয় দলের সাথে লম্বা সময় টিম বয় হিসেবে কাজ করা মোহাম্মদ নাসির ‘ক্রিকেট৯৭’ কে বলেন, ‘আসলে আমরাতো এসব বুঝিনা মামলা-মোকাদ্দমার বিষয়। থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে আমাকে ঝা-ড়ি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মামলা নিলেও সেটা ত্রাণ ছি-ন-তা-ইয়ের ছিলনা, সাধারণ মা-রা-মা-রির একটা মামলা হিসেবে নেয়।’
‘আমার বড় ভাইসহ কয়েকজনকে মা-র-ধ-র করে বিপ্লব চেয়ারম্যানের লোকজন। এখনো পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। পুরোটাই তাদের সাজানো, তারা প্রভাব খাটিয়ে এসব করছে।’
এদিকে লংগাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল -আমিন বিপ্লব পুরো বিষয়টি করেছেন অস্বীকার। বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে সে ত্রাণের কথা বলে ছাত্র দলের এক ছেলে আছে তাকে নিয়ে সে সৈয়দপাড়া গ্রামে গেছে। তখন একজন আওয়ামী সমর্থক মহিলা বিএনপির ত্রাণ নিতে অস্বীকৃতি জানায় এটা নিয়েই একটু ঝা-মে-লা হয়, ত-র্কা-ত-র্কি হয়।’
নাসিরের কাছে এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই দূর্যোগের সময় রাজনৈতিক পরিচয় কারও কাছে বড় হবে এটা বিশ্বাস করা যায়? একজন অসহায় মানুষ সে যেকোন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেই ত্রাণ নিবে। করোনা মহামারীর এই সময়টায় সবাই সামাজিক কাজে এগিয়ে আসছে। আর ঘটনাটা আসলে এমনও ছিলনা যেটা বলা হয়েছে। আমাকে জামাত-শিবিরের কর্মী হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারগুলো সত্যি কষ্ট পেয়েছি।’