

২০০২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা একে অপরের বিপক্ষে ১২ টি টেস্ট খেলেছে। যার মধ্যে ১০ টিতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২ টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতেও দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন ম্যাচ হারেনি, জিতেছে খেলা ৬ ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই।
তবে ওয়ানডেতে সাফল্যের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ২১ লড়াইয়ে ৪ বার জয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুইটি জয় এসেছে বিশ্বকাপের মঞ্চে (২০০৭ ও ২০১৯)। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
অতীতের বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশের পার্থক্য পারফরম্যান্সেই প্রতিফলিত হয়। ফেসবুক লাইভে তামিম ইকবাল প্রোটিয়াদের সাবেক অধিনায়ককে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেকাল-একাল নিয়ে মূল্যায়ন করতে বলেন।
ফাফ ডু প্লেসিস বলেন, ‘আমি যদি আগের কথা বলি তাহলে বাংলাদেশ ১ বা ২ জন ক্রিকেটারের ওপর নির্ভর করতো। মনে হতো তোমাদের কেবল ২ টি উইকেট। তবে এখন অনেক কিছুই বদলেছে, অন্য ক্রিকেটাররাও এগিয়ে আসছে।’
স্পিনারদের পাশাপাশি ভালো মানের পেস বোলার উঠে আসাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন ফাফ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অনেক স্পিনার উঠে এসেছে। সাকিব অবশ্যই দারুণ একজন স্পিনার। আমি মনে করি এখন আরো অনেক স্পিনার আসছে। তোমাদের ফাস্ট বোলাররা এখন ভাল করছে, যেটা উপমহাদেশের দলের জন্য সবসময়ই ভালো একটা ব্যাপার। তোমরা যখন বিদেশের মাটিতে খেলতে যাও তখন তোমাদের পেস আক্রমণ কেমন সেটা সবসময়ই ব্যবধান গড়ে দেয়। তোমাদের ব্যাটসম্যানরাও এখন প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই সেঞ্চুরি তুলে নেয়।’
২০১৯ বিশ্বকাপে ফাফ ডু প্লেসিসের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। শুধু সেই ম্যাচই নয়, গোটা টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেছে তাকে। এতোটা প্রতাশা করেননি তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে তোমাদের পারফরম্যান্স আমাকে বিশাল পরিমাণে মুগ্ধ করেছে। সত্যি বলতে কি আমি প্রত্যাশা করিনি যে তোমরা এতটা ভাল খেলবে। আমি ভেবেছিলাম তোমরা এক ম্যাচ ভালো খেলবে আবার বাকি ম্যাচগুলোতে সাদামাটা। তবে টুর্নামেটে তোমরা অন্যতম ধারাবাহিক দল ছিলে।’