

কঠিন চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ বের করে আনার জুড়ি নেই ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনির। ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তে ভারতকে এনে দিয়েছেন আইসিসির সব ইভেন্ট জয়ের স্বাদ। যাকে ডাকা হয় ক্যাপ্টেন কুল নামেও। তবে তার সতীর্থ গৌতম গম্ভীর ও ইরফান পাঠান বলছেন ক্যাপ্টেন কুলকেও মেজাজ হারাতে দেখেছেন।
দিন কয়েক আগে মোহাম্মদ শামি ও কুলদ্বীপ যাদবও স্বীকার করেছেন ম্যাচের পরিকল্পনা ঠিকঠাক করার জন্য ধোনির কাছ থেকে কড়া ধমকও খেয়েছেন। গৌতম গম্ভীর ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত অনেক ম্যাচ খেলেছেন ধোনির অধীনে।
স্টার স্পোর্টস ক্রিকেট কানেক্টেডে গম্ভীর ধোনি সম্পর্কে বলেন, ‘লোকে বলে তারা তাকে (ধোনিকে) কখনোই মেজাজ হারাতে দেখেনি তবে আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি। ২০০৭ ও অন্যান্য বিশ্বকাপে দেখেছি যখন আমরা ভালো করছিলাম না।’
‘সেও মানুষ এবং এমন কিছু করতে বাধ্য। এমন কিছু করা একজন মানুষের স্বাভাবিক ব্যাপার। এমনকি চেন্নাই সুপার কিংসেও ফিল্ডাররা ভুল কিছু করলে বা ক্যাচ ফেলে দিলে তাকে মেজাজ হারাতে দেখা যায়।’
তবে অন্য সবার চেয়ে ধোনিকে ঠান্ডা মাথার মানতে আপত্তি নেই গম্ভীরের, এগিয়ে রেখেছেন নিজের থেকেও, ‘হ্যা সে বেশ ঠান্ডা মেজাজের, সম্ভবত অন্য সব অধিনায়কের তুলনায় সেই সেরা এ দিক থেকে। আমার থেকে যে ঠান্ডা মেজাজের সেটা নিশ্চিত।’
অন্যদিকে সাবেক ভারতীয় পেসার ইরফান পাঠান বলেন, ‘এটা ২০০৬-০৭ সালের কথা। একদিন অনুশীলনে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বাঁহাতি বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট করার কথা ছিল। ওয়ার্ম আপ শেষে আমরা সেটাই করতে গেলাম। সেখানে দুটো দল ছিল। একবার এমএস ধোনিকে আউট দেওয়া হয়েছে কিন্তু সে ওটা মানতে চায়নি। সে তার ব্যাট ছুঁড়ে ফেলে দিল এবং ড্রেসিং রুমে কিছুটা উত্তপ্ত অবস্থায় ছিল। সুতরাং সেও রাগান্বিত হয়।’