

এই গ্রীষ্মে আবার খেলা শুরু করার আশা প্রকাশ করছে ব্রিটিশ সরকার। জুনের ১ তারিখ থেকে খেলা শুরু করার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
কোভিড-১৯ এর প্রভাবে অন্যান্য দেশের মত ব্রিটেনের খেলাধুলা আজ ক্ষতিগ্রস্ত। এই অবস্থা মুক্তি পেতে কৌশলগত পদ্ধতি অবলম্বন করছে ব্রিটিশ সরকার। দ্বিতীয় ধাপ অনুযায়ী বিভিন্ন খেলাধুলা শুরু করার জন্য তারা একটি কর্মসূচি তৈরি করেছে, যেখানে সম্প্রচারের ক্ষেত্রেও বাঁধা আসবে না। যদিও ১ জুনের আগে শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না, কেননা এখনও মহামারী আকারে কোভিড-১৯ বিরাজমান রয়েছে। বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়মানুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার।
উন্নত কাজ সম্প্রসারনের লক্ষে ইসিবি ১ জুলাইয়ের আগে ক্রিকেট শুরু করতে পারবে না বলে আগেই জানিয়েছে। এই গ্রীষ্মে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুইটি তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ডের সাথে ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথাও রয়েছে ইংল্যান্ডের।
১০০ বলের নতুন পদ্ধতির ক্রিকেট খেলা ইতিমধ্যে ২০২১ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘরোয়া দৃষ্টিকোণ থেকে ইসিবি এ সময়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কেননা এটি পরবর্তীতে বছরের শেষ ভাগে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ভালো প্রস্তুতি হিসেবে গণ্য হবে।
তবে এখনও নিশ্চিত নয় কবে থেকে দর্শকরা স্টেডিয়ামে এসে গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। কৌশলগত দিকের তিন নম্বর ধাপ অনুযায়ী জুলাইয়ের ৪ তারিখ থেকে কিছু ভেন্যুতে নিয়মনীতিতে কিছুটা শিথিলতা আনবে ব্রিটিশ সরকার।
এছাড়াও জনসাধারণের কিছু সিনেমা হলও আবার খুলে দেওয়া হবে। আরেকটি সূত্র থেকে জানা যায়, ‘যেসব ভেন্যুগুলোতে ভীড় লেগে থাকে এবং জনাসমাগমে দূরত্ব বজায় রাখে না, সেখানে এখনই ভেন্যুগুলো সম্পূর্ণভাবে না খুলে আংশিকভাবে খোলা হতে পারে।’