

সাবেক টাইগার অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন যখন ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন ঠিক তখনই শুরু করেন তামিম ইকবালের মত তরুণ ক্রিকেটাররা। তামিমের প্রথম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলাও সুজনের দলের হয়ে, তামিমকে খেলানোর ব্যাপারে দলের অধিনায়ক আকরাম খানকে উৎসাহীও করতেন সুজন। নেটে তামিমকে প্রচুর বল করেও সাহায্য করেছেন সে সময়টায়। পরবর্তীতে কোচের ভূমিকায় তামিমকে বল ছুঁড়তে গিয়েতো জীবনই হারাতে বসেছিলেন সাবেক এই পেসার।
তামিম ইকবালের নিয়মিত ফেসবুক লাইভ আড্ডায় গতকাল (১০ মে) অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন, নাইমুর রহমান দুর্জয় ও হাবিবুল বাশার সুমন। তামিমের শুরুর সময়টায় খালেদ মাহমুদ সুজনের সম্পৃক্ততা উঠে আসে সেখানেই। পুরোনো সেসব স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়কের একটি ড্রাইভে সুজনের অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়ার ঘটানাও সামনে আসে ভক্ত-সমর্থকদের জন্য।
তামিমের প্রথমবার প্রিমিয়ার খেলার স্মৃতি তুলে ধরতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘তোর (তামিম ইকবাল) সোনারগাঁওতে খেলার কথা ছিল কিন্তু যেকোন কারণে সেটা হয়নি। আকরাম ভাই বলার পর আমি বললাম নিয়ে আসেন আমাদের দলে। আমার তখন প্রায় শেষের দিকে, তোর সেবার প্রিমিয়ার লিগ অভিষেক। আমি নেটে বল করা শেষে তোকে আলাদা করে আধাঘন্টা বোলিং করতাম যেটা তোর জন্যও ভালো আমার জন্যও ভালো হত। ‘
তামিমকে খেলানোর ব্যাপারে নিজের ভূমিকা তুলে ধরে সুজন যোগ করেন, ‘তুই সে বছরই প্রথম খেললি, আমি আকরাম ভাইরে বললাম তামিমরে খেলান। আমি ভাইস ক্যাপ্টেন ছিলাম, আকরাম ভাই ক্যাপ্টেন ছিলেন। উনি আমার কথা শুনতেন। আর সে কারণেই আমি বললাম তামিমরে দিয়ে চেষ্টা করান। তুই ভালো খেললি। দ্রুত জাতীয় দলেও চলে আসলি মা শা আল্লাহ।
এরপরই তামিম সেই দূর্ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে আনেন, ‘সুজন ভাই হয়তো বেঁচে থাকতো না, আমাদের এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল নিউজিল্যান্ডে।’
এরপর সুজন জানিয়েছেন বিস্তারিত, ‘ হ্যা মনে আছে, আমি তোরে বলতাম যে মরে গেলে তোর দোষ না। তখনতো আমি সহকারী কোচ। তো তামিম আমাকে বলল আপনি আমাকে ১৮ গজ থেকে বল করেন জোরে খেলার জন্য। আমিও কাছ থেকে বল করতেছিলাম, একতা বল এত জোরে ড্রাইভ মারছে আমাকে যে আমি মাথা নামানোর সময়ও পাইনি। যখন মাথা নামিয়েছি বল আমার পিঠ ছুঁয়ে চলে গেছে। পরে গেঞ্জি খুলে দেখি লাল হয়ে মোটা দাগ হয়ে গিয়েছিল। আমার মাথায় লাগলে আমিতো শেষ, মরে যেতাম।’
তামিমকে নেটে প্রচুর বল করতেন বর্তমান বিসিবি পরিচালক ও কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তার এমন অবদান স্বীকার করে তামিম ধন্যবাদও জানান, ‘সুজন ভাই আপনি আমাকে অনেক বল করছেন, ধন্যবাদ ভাই।’
আর এতেই মজার ছলে বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় বলে বসেন, ‘মানুষতো আগে নেট বোলার থাকে, চাচা (খালেদ মাহমুদ সুজন) পরে নেট বোলার হয়েছে।’