

ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের আগে মুস্তাফিজুর রহমানকে স্কোয়াডে না রাখার ব্যাখ্যায় কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো জানিয়েছিলেন তাকে নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। এরপর একাদশে রাখবেন না সেটা আগে থেকে জানিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের স্কোয়াডে দলে রাখেন মুস্তাফিজকে। মূলত নতুন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের সাথে রেখে কাজ করানোর উদ্দেশ্যেই তাকে স্কোয়াডে জায়গা দেওয়া। সাদা বলের মত লাল বলে নিজেকে সেভাবে অপরিহার্য হিসেবে তুলে ধরতে না পারা বাঁহাতি এই পেসারের টেস্ট দলে প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করে গিবসন।
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজকে’ ওটিস গিবসন বলেছেন টেস্টে ভালো করতে সাদা বল ও লাল বলের জন্য আলাদা মানসিকতা রাখতে হবে মুস্তাফিজকে। কাটার মাস্টারখ্যাত এই পেসারকে সুইং দক্ষতা বাড়ানোর জোর দিয়েছেন ক্যারিবিয়ান সাবেক এই পেসার। ইতোমধ্যে শুরু করেছেন কাজও, কিন্তু করোনা প্রভাবে থমকে গেছে সবকিছু।
৫৮ ওয়ানডে ও ৪১ টি-টোয়েন্টির বিপরীতে মুস্তাফিজ টেস্ট খেলেছেন সাকূল্যে ১৩ টি। সাদা বলে ১৬৭ উইকেট ঝুলিতে রাখা মুস্তাফিজ ১৩ টেস্টে উইকেট নিয়েছেন মাত্র ২৮ টি। মুস্তাফিজের টেস্ট খেলার সামর্থ্য আছে উল্লেখ করে টাইগারদের নতুন পেস বোলিং কোচ বলেন,
‘মুস্তাফিজের সেই গভীরতাটুকু আছে এবং টেস্ট ক্রিকেটে দলে ভূমিকা রাখার সামর্থ্যও তার আছে। ফিজের ব্যাপারে মজার বিষয় হল সে যখন শুরু করেছে তখন প্রচুর সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছে।’
তবে টেস্টে ভালো করতে আলাদা মানসিকতা ঠিক করতে হবে বলে মনে করেন এই ক্যারিবিয়ান, ‘সে কিছু টেস্ট খেলেছে কিন্তু সাদা বলেই বেশি খেলেছে যেখানে প্রচুর বৈচিত্র্য প্রয়োজন আর এটিই টেস্ট ক্রিকেটে প্রভাব ফেলতে পারে যেহেতু দুটোর মানসিকতা আলাদা। সুতরাং তাকে দু ধরণের মানসিক দক্ষতাই বাড়াতে হবে।’
‘টেস্ট ক্রিকেটে ওভারের পর ওভার লাইন, লেংথ ঠিক রেখে বল করে যাওয়াতে মনযোগ দিতে হবে। যেখানে সাদা বলে আপনাকে অপ্রত্যাশিত হতে হবে এবং সব ধরণের বৈচিত্র্য ও দক্ষতার ব্যবহার করতে হবে। সুতরাং দুই ধরণের ক্রিকেটে দক্ষতার প্রয়োগটা আলাদা। টেস্টে আপনাকে সবচেয়ে দ্রুতগতির হতে হবে এমন না কিন্তু বেশ নিখুঁত হতে হবে এবং সুইং করাতে হবে সেটা বাতাসে কিংবা উইকেটে যেখানেই হোক।’
মুস্তাফিজের সুইং নিয়ে কাজ শুরু করলেও করোনার কারণে সেটাতে পড়েছে বিরতি। একদম খারাপ সময়ে বিরতিটা এসেছে উল্লেখ করে গিবসন যোগ করেন, ‘আমি তার সাথে কিছু সময় কাজ করেছি এবং ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে তার বল সুইং করানোতে কিছুটা সাফল্যও দেখেছি। বিরতিটা একদম খারাপ সময়ে এসেছে কারণ যখন সে উপলব্ধি করতে শুরু করেছে যে আমরা আসলে কি করতে যাচ্ছি। বলে সুইং করানো শুরু করার প্রমাণও আছে।’
‘কোভিড-১৯ এর জন্য জিনিসগুলো করা সম্ভব হচ্ছেনা কিন্তু বাড়িতে সে সেসব ড্রিল চালিয়ে নিচ্ছে যেগুলো আমরা করেছি। তবে যেসব কাজ বাকি আছে সেগুলো করার জন্য আমি ফিরে যাওয়ার আশা আছি। আমরা তাকে টেস্ট দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি কারণ সে মানসম্পন্ন একজন বাঁহাতি পেসার এনং সে আপনাকে বাড়তি সুবিধা দিবে ও টেস্ট দলে প্রভাব ফেলবে।’