
২০১৫ বিশ্বকাপটা পেসার রুবেল হোসেনের জন্য অবিস্মরণীয়ই বলতে হয়। অথচ ঐ বিশ্বকাপে তার স্কোয়াডে থাকা নিয়েই ছিল সংশয়। পারফরম্যান্স নয়, মাঠের বাইরে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে আইনী ঝামেলায় পড়া রুবেলকে তবুও দলে রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। জীবনের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিশাল এক ঝড়ের পরও বিশ্বকাপে দলের অংশ হওয়া আর দলের ঐতিহাসিক জয়ে দুর্দান্ত কিছু করা স্বপ্নের মতই রুবেল হোসেনের জন্য।
আর ঐ দুঃসময়ে পাশে থেকে সমর্থন জুগানোয় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানকে বিশেষ ধন্যবাদ দিয়েছেন রুবেল। এর আগেও বহুবার বলেছেন তবে গতকাল (৮ মে) তামিম ইকবালের নিয়মিত লাইভ সেশনে অতিথি হিসেবে এসে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন আরও একবার।
ক্যারিয়ারের শুরুর রুবেল হোসেন ও বর্তমান রুবেল হোসেনের ফারকটা যে কেউই ধরতে পারবেন সহজে। বিশেষ করে ২০১৫ সালের সেই ঘটনা বদলে দিয়েছে ডানহাতি এই পেসারকে, যে ঘটনায় জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছে। ব্যক্তিত্ব, আচরণ, মানসিকতা সবমিলিয়ে রুবেল এখন বেশ গোছানো।
সেই বাজে সময়টা পাড়ি দিয়ে বিশ্বকাপ খেলা, দেশকে দারুণ এক মুহূর্তের সাক্ষী করা কীভাবে সম্ভব হয়েছে জানতে চান তামিম। জবাবে রুবেল বলেন, ‘এর আগে আমি অনেকবার মিডিয়াতে বলেছি, তবে কথাগুলো ওভাবে প্রচার হয়নি। যেহেতু আপনার এই লাইভ অনুষ্ঠান সবাই দেখে, আমি জানি, সে কারণে আমি এখানে কথাগুলো বলতে চাই।’
‘আসলে যেই মানুষটার কারণে আমি বিশ্বকাপে খেলতে পারছি, তিনি আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পাপন ভাই (নাজমুল হাসান পাপন)। পাপন ভাইকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। তিনি যদি আমাকে সুযোগটা না দিতেন তাহলে হয়তোবা বিশ্বকাপে আমি খেলতে পারতাম না। পাপন ভাই আমাকে অনেকভাবে সাহায্য করেছে। আমি পাপন ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।’
বিসিবি পরিচালক শেখ সোহলকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে রুবেল যোগ করেন, ‘আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের আরেকজন মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাই, শেখ সোহেল ভাই। তিনিও আমাকে অনেকভাবে সমর্থন দিয়েছেন। আর বিশেষভাবে ধন্যবাদ বাগেরহাটের মানুষদেরকেও আমি ধন্যবাদ জানাই।’
তামিমের চাচা বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানকে উদ্দেশ্য করে এই পেসার বলেন, ‘আর যে মানুষটির কথা না বললেই নয়। আসলে যে মানুষটির কাছে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো, সেই মানুষটি হচ্ছে আকরাম ভাই। তার কাছে আমি, আমার পরিবার, সবাই সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।’
‘তিনি আমাকে মানসিকভাবে, সবভাবেই সমর্থন করেছেন। সেই মানুষটি আমার আত্মীয় বা রক্তের কেউ না অবশ্য, তবে সেই সময়ে তিনি আমাকে যেভাবে সমর্থন করেছেন, আমি সারাজীবনই কৃতজ্ঞ থাকবো তার কাছে।’