

২০১৫ বিশ্বকাপ নানাভাবেই স্মরণীয় বাংলাদেশের জন্য। অ্যাডিলেডে রুবেল হোসেনের নিখুঁত ইয়র্কারে ছত্রভঙ্গ জিমি অ্যান্ডারসনের স্টাম্প, আর বাংলাদেশের ইংলিশ বধের বিজয়োল্লাস। এই দৃশ্য রুবেল হোসেনের ক্যারিয়ারের বড় বিজ্ঞাপন চিত্রও বলা যায়। ঐ বিশ্বকাপেই ভারতের বিপক্ষে বিতর্কিত কোয়ার্টার ফাইনালে কোহলির উইকেট নিয়ে রুবেলের বুনো উল্লাসের কথাও সহজে ভোলার কথা নয় ক্রিকেট প্রেমীদের।
সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান কোহলির উইকেট পাওয়া যেকোন বোলারের স্বপ্নই বলতে হয় তবুও রুবেলের অমন বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসের কারণ অবশ্য জানিয়েছেন নিজেই। দুজনের এই দ্বন্দ্বটা জাতীয় দল নয়। বয়সভিত্তিক থেকেই শুরু। বয়সভিত্তিক হয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের লম্বা সময়ও ভারতীয় অধিনায়কের আচরণ নিয়ে বিতর্ক ছিল নিয়মিত ঘটনা। এখন কিছুটা পরিণতবোধ তৈরি হলেও শুরুর খ্যাপাটে কোহলিকে ঠিক নিতে পারতেন না রুবেল।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময়টায় নিজের সাথে ভক্ত-সমর্থকদের গৃহবন্দী সময়টা উপভোগ্য করে তুলতে জাতীয় দলের নয়া ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিয়মিত লাইভ সেশনে আসছেন সতীর্থদের সাথে নিয়ে। গতকাল (৮ মে) তার ফেসবুক লাইভে সঙ্গী ছিল পেসার তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন। আর সেখানেই কোহলির সাথে রুবেলের দ্বন্দ্ব নিয়ে জানতে চান তামিম ইকবাল।
তামিমের প্রশ্নের জবাবে রুবেল বলেন, ‘কোহলি আসলে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই স্লেজিং করতো বেশ বাজেভাবে। জাতীয় দলে এসে কিছুটা কমেছে। তো দক্ষিণ আফ্রিকায় এরকম একটা টুর্নামেন্ট ছিল ত্রিদেশীয়। ঐ ম্যাচেও সে প্রচন্ড পরিমাণ স্লেজিং করছিল। যেই নামছিল আমাদের ব্যাটসম্যান তাকেই গালিগালাজ করছিল উল্টা পাল্টাভাবে। যাইহোক ও কীভাবে গালিগালাজ করতো সেটা আমরা সবাই জানি। ওখানে ওর সাথে আমার খারাপ একটা ঘটনা ঘটে, তাকে আউট করার পর একটা গালি দিয়েছিলাম।’
‘পরে সে ব্যাট নিয়ে তেড়ে আসে, গালি দেয়। আমিও ওর দিকে যাচ্ছিলাম, পরে আম্পায়ার এসে জিনিসটাকে হ্যান্ডেল করে। ওখান থেকেই আসলে ওর সাথে আমার একটা দ্বন্ধ শুরু হয় আরকি। এরপর জাতীয় দলে এসে বিশ্বকাপেও দেখলেনই তো, আপনিতো জানেনই ও কেমন স্লেজিং করে। বিশেষ করে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের সাথে সে কেমন স্লেজিং করে। সে হিসেবে জাতীয় দলেও ওর সাথে আমার ঝামেলা হয়। মূলত অনূর্ধ্ব-১৯ এর ঐ ঘটনা থেকেই ওর সাথে আমার ঝামেলা।’