

তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে পাকিস্তানি উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান উমর আকমলের ওপর। গত ২৭ এপ্রিল রায় ঘোষণার পর এবার মামলার বিস্তারিত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) জমা দিয়েছেন ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) ফজল-ই-মিরান চৌহান।
দুর্নীতি দমন আইনের দুটি অভিযোগে উমর আকমলকে সাজা দেওয়া হয়, যার প্রত্যেকটির জন্যই তিনবছর করে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয় তার উপর। গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে, দুটি সাজাই এক সময়ে শুরু হওয়ায় ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারির আগে কোন ধরণের ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারবেন না আকমল।
গত ১৭ মার্চ পিসিবির দুর্নীতি দমন আইনের দুটি অনুচ্ছেদ (২.৪.৪) ভঙ্গের দায়ে অভিযোগ দাখিল করা হয় ২৯ বছর বয়সী উইকেট রক্ষক এই ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে। আকমল পিসিবির শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় ৯ এপ্রিল পুরো বিষয়টি ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়।
বিচারপতি চৌহান বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে সে অনুশোচনা কিংবা দুঃখ প্রকাশ করতে প্রস্তুত ছিলনা। বলাবাহুল্য সে দুর্নীতি দমন কোডের (২.৪.৪) অধীনে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। বরং অতীতে এমন কিছু ঘটলে জানিয়েছেন এই অজুহাতের আশ্রয় নিতে চেয়েছেন।’
‘তার সাজা কমানোর কোন পরিস্থিতিই আমি দেখছিনা যেহেতু সে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা সুরক্ষা বিভাগ ও তদন্তকারী দলের কাজে কোন প্রকার সহযোগীতা করেনি।’
মূলত পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল্ল চলাকালীন জুয়াড়ির প্রস্তাব পেয়ে সেটি গ্রহণ না করলেও পিসিবিকে না জানানোর অপরাধেই ফেঁসেছেন পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু তদন্ত কাজেও সাহায্য না করাটা তার শাস্তি কঠিন হওয়াতে প্রভাব ফেলেছে।
চৌহান যোগ করেন, ‘সে বিষয়টি পিসিবি ও দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।’
‘বিনা কারণে তার কাছে আসা প্রস্তাব ও আমন্ত্রণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে গড়িমসি করেছে। এটি স্পষ্ট যে দোষী, তার বিরুদ্ধে আরোপিত সাজা প্রদানে নিজেই বাধ্য করেছেন ২.৪.৪ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের দায়ে।’
Detailed judgement on Umar Akmal released https://t.co/0nHYSgMwli pic.twitter.com/7EVKbZhS8u
— PCB Media (@TheRealPCBMedia) May 8, 2020