

বাংলাদেশে নাসির হোসেন একটা সময় ‘ফিনিশার’ তকমা পেয়েছিলেন। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিনিশার বলে বিবেচনা করা হয়। তবে ক্রিকেটের ভকাবুলারিতে এই ফিনিশার শব্দটিকে বাড়তি মর্যাদা দিয়ে অন্তর্ভূক্ত করা মানুষটির নাম মাইকেল বেভান।
১৯৭০ সালের ৮ মে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরির বেলকনেনে জন্ম নেন মাইকেল বেভান। ১৯৯৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের, যিনি কিনা বাঁহাতে লেগস্পিন (চায়নাম্যান) করতে পারতেন।
টেস্ট ক্রিকেটে অতটা নাম না করতে পারলেও (খেলেছেন ১৮ টি টেস্ট) ওয়ানডে ক্রিকেটে বড় এক নাম ছিলেন মাইকেল বেভান। ম্যাচ শেষ করে আসার ব্যাপারে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতার কারণে মাইকেল বেভানের সতীর্থরা তার নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য টার্মিনেটর’।
শুধু অস্ট্রেলিয়ারই নয়, ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওয়ানডে স্পেশালিস্ট বেভান। ১৩ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার লেজের দিকের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ব্যাট করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন বেভান।
২৩২ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫৩.৫৮ গড়ে রান করেছেন ৬৯১২। ৪৬ ফিফটি ও ৬ সেঞ্চুরির মালিক এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নট আউট থেকেছেন ৬৭ টি ওয়ানডে ইনিংসে। গড়টা তাই ঈর্ষনীয়, ৫৩.৫৮।
২০০৭ সালে মাইকেল বেভান যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তখন ওয়ানডেতে ৫০ এর বেশি ব্যাটিং গড় ছিল কেবল তারই। ১৯৯৯ ও ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়া যে ফাইনাল খেলেছিল তাতে বড় অবদান ছিল মাইকেল বেভানের।
মোহালিতে সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ রানে জেতা ম্যাচে স্টুয়ার্ট ল’র সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন বেভু (বেভানের ডাকনাম)। কার্টলি অ্যামব্রোস, ইয়ান বিশপদের বোলিং তোপে ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে স্টুয়ার্ট লয়ের সঙ্গে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে দলকে ২০০ পার করতে সাহায্য করেছিলেন বেভান। শেন ওয়ার্নের স্পিন জাদুতে সেই ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলেও অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বেভান।
ক্যারিয়ারে নট আউট থেকে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছেন বেশ কিছু ম্যাচ। ১৯৯৪ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪২ বলে ৫৩*, ১৯৯৮ সালে দিল্লিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৫ বলে ৩৩*, শারজায় ভারতের বিপক্ষে ১০৩ বলে ১০১*, ১৯৯৯ সালে পার্থে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৫ বলে ৭২*, সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৪ বলে ৬৯*, ২০০১ সালে মারগাওয়ে ভারতের বিপক্ষে ১১৩ বলে ৮৭*, ২০০২ সালে মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ বলে ১০২*, ২০০৩ সালে পোর্ট এলিজাবেথে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৬ বলে ৭৪*- এমন সব ইনিংস মাইকেল বেভানের ক্যারিয়ারের বিজ্ঞাপন হয়ে আছে।
‘It’s Michael Bevan’s evening at the Sydney Cricket Ground!’
It’s another half-century for Bevo today as he celebrates his 50th birthday! What a guy. pic.twitter.com/W4fFSfwwOT
— cricket.com.au (@cricketcomau) May 8, 2020
👕 232 ODIs
🏏 6912 runsHis batting average of 53.58 when he retired was the best of anyone to have scored over 1000 runs 🔥
Happy birthday to an ODI great, Michael Bevan! 🎂 pic.twitter.com/a5tcfXFfHY
— ICC (@ICC) May 7, 2020