

১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। এর আগে ও পরে আর কোন বিশ্বকাপ জেতেনি পাকিস্তান। আর তাতে কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামের দায় দেখেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক আমির সোহেল।
ওয়াসিম আকরাম ও আমির সোহেল দুজনই পাকিস্তান ক্রিকেটের বড় দুই তারকা ছিলেন। নব্বই এর দশকে দাপটের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন দুজনই। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ ছিলেন তারা। ওয়াসিম আকরাম তো পরবর্তী দুই বিশ্বকাপে (১৯৯৬ ও ১৯৯৯) পাকিস্তানকে নেতৃত্বও দিয়েছেন।
আমির সোহেল সম্প্রতি ভয়াবহ অভিযোগ এনেছেন ওয়াসিমের বিরুদ্ধে। তার মতে অধিনায়ক হয়ে ২ বিশ্বকাপ ও সিনিয়র ক্রিকেটার হয়ে এক বিশ্বকাপ (২০০৩) খেলা ওয়াসিমের মূল কাজ ছিল ১৯৯২ সালে যা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি না করা।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনকে আমির সোহেল বলেন, ‘এটা খুবই সোজা। ১৯৯২ বিশ্বকাপকে একপাশে রেখে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলুন। ১৯৯৫ সালে রমিজ রাজা অধিনায়ক ছিলেন। এর আগে সেলিম মালিক অধিনায়কত্ব করেছেন। সে খুবই সফল ছিলেন এবং যদি আরো লম্বা সময় অধিনায়কত্ব করতে পারতেন তাহলে ওয়াসিমের নেতৃত্ব দেওয়া হত না।’
‘২০০৩ সালের বিশ্বকাপের দিকে যদি তাকান, সব বিশ্বকাপের আগেই অধিনায়ক বদল করে আকরামকে চেয়ারে বসিয়ে দেবার প্রবণতা ছিল। পাকিস্তান ক্রিকেটে ওয়াসিম আকরামের সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে এটা নিশ্চিত করা যে ১৯৯২ সালের পর পাকিস্তান আর বিশ্বকাপ জিতবে না।’
এর আগে জাস্টিস মালিক কাইয়ুমের রিপোর্টে পাকিস্তানের সাবেক পেসার আতা উর রহমান ও পিসিবির সাবেক দুই প্রধান খালিদ মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যানেন্ট জেনারেল তৌকির জিয়া ম্যাচ ফিক্সিং এর ঘটনায় ওয়াসিম আকরামের নামও উল্লেখ করেছিলেন।
নিজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের খবর কানে এসেছে ওয়াসিম আকরামের। তবে কারো বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে নারাজ পাকিস্তানকে ১০৯ টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া ওয়াসিম।
তিনি বলেন, ‘যখনই আমি আমার বিরুদ্ধে নেগেটিভ কোন খবর শুনি আমি খুব খারাপ বোধ করি। আমার অবসর নেবার পর ১৭ বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো কিছু মানুষ আমার নাম ব্যবহার করে নিজেদেরকে প্রমোট করে।’
‘আমিও এসব মানুষের বিরুদ্ধে নেগেটিভ কথাবার্তা বলতে পারি। কিন্তু তাতে কি লাভ হবে? সেকারণেই আমি চুপ থাকি। আমার অবসরের ১৭ বছর বাদেও মানুষ আমাকে যে পরিমাণ ভালবাসা দেয় ও শ্রদ্ধা করে আমি সেটাকেই মূল্য দিই।’