

করোনা ভাইরাস থাবায় একের পর এক স্থগিত হয়েছে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজগুলো। পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি না হলে শঙ্কা আছে চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপের মত ইভেন্টগুলো নিয়েও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা করতে আয়োজক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাথে আগামী ৮ মে টেলি কনফারেন্সে সভা ডেকেছে আইসিসি।
গত ২৩ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সে আইসিসির সদস্য ও সহযোগী সদস্যগুলোর প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্রধান নির্বাহী কমিটি (সিইসি) সভা। সভায় বিশ্বকাপ নিয়ে হয়েছে বেশ আলোচনা, আইসিসি জানিয়েছে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে অক্টোবরে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, দেশটির স্থানীয় সংগঠন ও সরকারের সাথে কাজ করছে তারা।
২৩ এপ্রিলের সিইসি সভা শেষে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে আইসিসি প্রধান নির্বাহী মানু সোহনি বলেন, ‘আমি আমার সকল প্রধান নির্বাহীর কাছে তাদের প্রতিশ্রুতির জন্য কৃতজ্ঞ, তারা এই মহামারী থেকে উতরানোর পর ক্রিকেট মাঠে ফেরাতে ঐক্যবদ্ধ। আমরা একসাথে কাজ করবো আইসিসি ইভেন্ট ও দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো যথাযথভাবে মাঠে ফেরানোর জন্য।’
সভা শেষে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস বলেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আইসিসির সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে, ২০২০ সালের বিশ্বকাপ যথাসময়ে আয়োজনে স্থানীয় আয়োজক কমিটি ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের সাথে আমাদের পরিকল্পনা সাজানোই আছে। এমন সিদ্ধান্তই নিব সবাই মিলে যেন খেলাটা মাঠে ফেরা দুর্দান্তভাবে উদযাপন করা যায় এবং সবাইকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে পারি।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শঙ্কার মধ্যে পড়ার পেছনে কারণ অস্ট্রেলিয়া সরকারের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া। করোনা ভাইরাস প্রতিহতে দেশটিতে অনুপ্রবেশে গত মার্চে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করে অস্ট্রেলিয়া সরকার। সে হিসাবে নিষেধাজ্ঞা উঠবে সেপ্টেম্বরের শেষদিকে অন্যদিকে বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর কথা ১৮ অক্টোবর থেকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই অল্প সময়ে বিশ্বকাপের মত আয়োজন যথাযময়ে প্রস্তুত করা নিয়েই আছে সংশয়।
তবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়ামন্ত্রী রিচার্ড কলব্যাকও এখনো আশাবাদী বিশ্বকাপ নিয়ে, ‘এই গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়া-ভারতের টেস্ট সিরিজ দেখতে চাইব আমি। খুব করে চাইব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাও হোক।’