

অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটে স্লেজিং অনেকটা ম্যাচের আবশ্যকীয় অংশে পরিণত হয়েছে। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্যের লড়াই অ্যাশেজের আগে দুই দলের ক্রিকেটারদের কথার যুদ্ধও আলোচনার খোরাক হয় নিয়মিত। এর বাইরে ক্রিকেটের প্রায় সব দল এমনকি ঘরোয়া লিগেও স্লেজিং খেলার অংশ হিসেবেই বিবেচ্য।
যদিও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সংস্কৃতিতে এমন কিছু খুব একটা প্রভাব পড়েনা তবুও ক্রিকেট মাঠে অল্প স্বল্প স্লেজিংতো হয়ই। আর এমনই এক ঘটনা সামনে আনতে গিয়ে মুশফিকুর রহিম জানালেন সৌরভ গাঙ্গুলির কাছ থেকে পাওয়া মজার এক উত্তরের কাহিনী।
২০০৭ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী ভারতকে ছিটকে দেয় তরুণ মুশফিক, সাকিব, তামিমরা। ত্রিনিদাদের কুইন্স পার্ক ওভালে আগে ব্যাট করা ভারত সৌরভ গাঙ্গুলির ৬৬ রানে ভর করে ১৯১ রানের পুঁজি পায়। শেবাগ, টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়দের ব্যর্থতার ভীড়ে সেদিন একাই দলকে টেনেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ১২৯ বল খেলা গাঙ্গুলি বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠেন উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো মুশফিকের।
বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক ম্যাচে তরুণ মুশফিক মজার ছলে সৌরভ গাঙ্গুলিকে ছোট ভাই হিসেবে কিছুটা ছাড় দিতে বলেন। প্রত্যুত্তরে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক জানান বাংলাদেশ এখন আর ছোট ভাই নেই, ধীরে ধীরে বড় হয়ে যাচ্ছে ছাড় দেওয়ার আর সুযোগ নেই।
ডেইলি ক্রিকেটের লাইভ সেশনে আজ (৭ মে) অতিথি হিসেবে আসা মুশফিক স্লেজিং নিয়ে মজার মুহূর্ত বলতে গিয়ে বিষয়টি তুলে ধরেন,
‘খেলার ভেতর স্লেজ বলতে ওরকম কষ্ট দিয়ে আসলে কাউকে কিছু বলা হয়না, আমি কখনো করিনা। কিন্তু কৌশলগত কারণে কিছু জিনিসতো করাই যায়, এসব ক্রিকেটেরই অংশ। ২০০৭ সালে একটি স্লেজিংয়ের কথা মনে আছে আমার, মজার একটা ঘটনা। যদিও প্রথম ম্যাচ আমার (বিশ্বকাপে), সৌরভ গাঙ্গুলি ব্যাটিং করছিল। ফিফটি (৬৬) বা এরকম কিছু রান করেছিলেন উনি। অনেক্ষণই ব্যাটিং করছিলেন।’
‘কোন একজন স্পিনার বল করছিল তখন, রফিক ভাই অথবা রাজ (আব্দুর রাজ্জাক) ভাই দুজনের একজন। তো উনিতো (গাঙ্গুলি) কোলকাতার তাই বাংলা কথা অবশ্যই ভালোভাবে বোঝেন। আমি বলছিলাম দাদা আপনি এত মারছেন কেন, আমরা আপনার ছোট ভাই না? এত মারলে কীভাবে হবে? আপনি একটু ছাড়-টাড় কিছু দেন।’
গাঙ্গুলির জবাব কি ছিল জানাতে গিয়ে মুশফিক আরও যোগ করেন, ‘এক বল পর উনি কোন উত্তর দেননি। পরে যখন স্ট্রাইকে আসলেন আবার তখন বললেন, না না তোরা এখন আর ছোট নেই, তোরা এখন অনেক বড় হয়ে গেছিস। তোদেরকে ছাড় দেওয়া যাবেনা।’