

করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাবে স্থগিত সবধরণের খেলাধুলা। মাঠে খেলা না থাকায় ক্রীড়াবিদরা পড়েছেন বেশ ভালো আর্থিক সংকটে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ক্রীড়াবিদদের সাহায্য করতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মোট ২৭ ফেডারেশনের ১০০০ জন ক্রীড়াবিদ পাচ্ছেন সরকারি এই সাহায্য। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ খেলোয়ারেরাও পাবেন এই আর্থিক সাহায্য।
অসহায় ক্রীড়াবিদদের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারটি আজ ( ৫ মে) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সভায় চূড়ান্ত হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এটি এই ইস্যুতে দ্বিতীয় সভা।
সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান খান রাসেল বলেন, ‘এই দুর্যোগে সকল মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ক্রীড়াঙ্গন তার বাইরে নয়। ভাইরাসটি এমন সময় আক্রমণ করেছে যখন সব ধরণের খেলাই চলছিল। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলা, যেগুলো খেলোয়াড়দের আয়ের একটা বড় উৎস। খেলা বন্ধ হওয়ার কারণে সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’
মানবিক সাহায্য কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১০০০ জন ক্রীড়াবিদকে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী,
‘মানবিক সহায়তাগুলো কয়েক স্তরের দেয়ার চিন্তা করছি। প্রথম ধাপে আমরা বিভিন্ন ফেডারেশন থেকে প্রায় ১০০০ অসহায় ক্রীড়াবিদদের সহায়তা দেবো। প্রথম ধাপে ২৭ ফেডারেশন থেকে যাদের সহায়তা না দিলেই নয় তাদের তালিকা করছি। প্রত্যেককে আমরা ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি।’
সরাকারি আর্থিক ভাতা প্রদানের নিয়ম বিভিন্ন খাতে আগে থেকেই প্রচলিত। এবার ক্রীড়াঙ্গনেও সেটি যুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। আর সেটা শুরু হলে দেশের সব জেলার ক্ষতিগ্রস্থ ক্রীড়াবিদরাই এ সুযোগ পাবেন বলে জানান জাহিদ আহসান খান রাসেল। এই উদ্যোগটি করোনা প্রভাব বিস্তারের আগেই নেওয়া হয়েছিল, শুরু হয়েছিল কাজও।
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্মানী ভাতার ব্যবস্থা আছে। ক্রীড়াঙ্গনে কেন নয়? তাই আমরা ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। অনলাইনে আবেদনও চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে, প্রক্রিয়া চূড়ান্তের কাছাকাছি আসার পর স্থগিত করেছি। ঈদের পর আমরা ওই সহায়তাও দিতে পারবো।’
‘৬৪ জেলাকে আমরা চিঠি দিচ্ছি। করোনায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে এককালীন ২৪ হাজার টাকা প্রদান করবো। তাতে ক্রীড়াবিদরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।’