

করোনা সংকটে শুরু থেকেই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সম্মিলিতভাবে তহবিল গঠনের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তামিম, মুশফিক, মাশরাফিরা। মাঠে খেলা নেই ফলে খেলার সাথে যাদের সরাসরি আয় জড়িয়ে, সেসব স্বল্প আয়ের মানুষদের নিয়েও ভাবছেন তারা। ৩০ জন নেট বোলার ও বলবয়কে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাহায্য করেছেন মুশফিকুর রহিম।
মাঠে ক্রিকেট থাকলে নেটে অনুশীলনে নেট বোলারদের প্রয়োজনীয়তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই দুর্দিনে মুশফিক ভেবেছেন তাদের কথাও। ২৮ জন নেট বোলার ও ২ জন বল বয়কে নিজে থেকে খবর নিয়ে সাহায্য করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত অভিজ্ঞ এই টাইগার ব্যাটসম্যান।
নেট বোলার মোহাম্মদ সোহাগের তত্বাবধানেই আই আর্থিক সাহায্য বন্টন করেন মুশফিক। সাহায্যের ব্যাপারটি জানিয়ে সোহাগ বলেন,
‘মুশফিক ভাই ২৮ জন নেট বোলার এবং ২ জন বল বয় সহ মোট ৩০ জনকে সাহায্য করেছেন। উনি একদিন আমাকে ফোন করে সবার খবর জিজ্ঞেস করেন, তখন আমি তাদের অবস্থা মুশফিক ভাইকে জানাই। এরপর ৩০ জনের একটা তালিকা আমি উনাকে পাঠাই। ইতোমধ্যে সবার কাছে সাহায্য পৌঁছেছে। তবে অর্থের পরিমাণ বলতে নিষেধ করেছেন। সবাই খুবই উপকৃত হয়েছে।’
এর আগে মুশফিকের উদ্যোগেই পঞ্চপান্ডবের (মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মর্তুজা) প্রত্যেক সদস্য এক লাখ টাকা করে দিয়ে সাহায্য করেন ৪০ জন টিম বয় ও ম্যাসাজম্যানকে।
নিজ জেলা বগুড়ায় হাসপাতালে চিকিৎসকদের জন্য কয়েকশ পিপিই সরবরাহ করেন উইকেট রক্ষক এই ব্যাটসম্যান। তামিমের উদ্যোগে গঠিত ২৭ জন ক্রিকেটারের তহবিলে মুশফিকও নিজের বেতনের অর্ধেক অনুদান হিসেবে দেন।
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজের প্রিয় একটি ব্যাটও নিলামে তুলতে যাচ্ছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই সেনানী। ২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল শতক হাঁকানোর পথে ব্যবহৃত ব্যাটটিই মানবতার সেবায় তুলে দিচ্ছেন নিলামে। নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থের পুরোটাই ব্যয় হবে অসহায়দের পেছনে।