

পাকিস্তানি সাবেক পেসার মোহাম্মদ আসিফ বলছেন তিনিই পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ও শেষ ফিক্সার নন। তাই অন্যদের মত আরেকটি সুযোগও প্রত্যাশা করেন বোর্ডের কাছ থেকে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ৭ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি সালমান বাট ও মোহাম্মদ আমিরের সাথে ইংল্যান্ডে কারাভোগও করেছেন তিনি।
কারও নাম উল্লেখ না করে ডানহাতি এই পেসার বলছেন এমন অপরাধ করেও পরবর্তীতে দলে ফিরেছেন অনেকেই। তাদের মত তিনিও দ্বিতীয় সুযোগের অপেক্ষায়।
আসিফ বলেন, ‘প্রত্যেকেই ভুল করে, আর আমিও সেটাই করেছি। আমার আগেও অনেকে ফিক্সিং করেছে আবার পরেও অনেকে করেছে। আমার আগে যারা করেছে তারা এখন পিসিবিতে কাজ করছে এবং পরে যারা করেছে তাদের অনেকেই এখনো খেলছে।’
‘প্রত্যেককেই দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হয়েছে আবার এমন কয়েকজন আছে যারা আমার মত বঞ্চিত হয়েছে। পিসিবি আমাকে কখনোই বাঁচানোর চেষ্টা করেনি, বিশ্বের সবার কাছেই অত্যন্ত ভালো বোলার হওয়া সত্বেও। যাইহোক আমি অতীত নিয়ে বসে থাকিনা।’
৩৭ বছর বয়সী এই পেসার বলছেন তবুও নিজের ছোট্ট ক্যারিয়ারের অর্জন নিয়ে গর্ববোধ করেন। আসিফ বলেন, ‘যদিও আমি আমার ক্যারিয়ারটা খুব বেশি লম্বা করতে পারিনি তবে যতদিন খেলেছি দুনিয়া কাঁ-পি-য়ে-ছি। এ নিয়ে ভাবাটাই আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজ এতদিন পরেও বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানরা আমাকে মনে রাখে এবং আমাকে নিয়ে কথা বলে।’
‘এটুক ভাবেন যে আমি বিশ্বে কতটা প্রভাব ফেলেছিলাম। সুতরাং এটিই আমাকে গর্বিত করে যে কেভিন পিটারসেন, এবি ডি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলারা আমাকে সম্পর্কে কথা বলে। এসবেই আমার আনন্দ।’
মাঠের ফিক্সিং কান্ডের সাথে মাঠের বাইরেও আচরণগত দিক দিয়ে মোহাম্মদ আসিফের ছিল বেশ দুর্নাম। সতীর্থ ক্রিকেটারদের সাথে মা-রা-মা-রি-তে জড়ানো, ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার মত ঘটনা ঘটিয়েছেন। সেসব নিয়ে অনুতপ্ত আসিফ বলেন, ‘হ্যা মাঠের বাইরের আচরণেও আমাকে আরও অনেক সংযত হওয়া উচিৎ ছিল।’
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে এসে বোর্ডের সুনজরে থেকেও মোহাম্মদ আমিরের টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়াটা পছন্দ হয়নি আসিফের কাছে। তিনি বলেন, ‘পিসিবি তার ক্যারিয়ারটা কীভাবে আবার সাজিয়ে দিল। তার উচিৎ ছিল কঠিন সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের পাশে থাকা যা তার দায়বদ্ধতাও বলা যায়। কারণ তারা তাকে ফিরে আসতে সর্বোচ্চ সহায়তা করেছে।’
‘যদি পিসিবি আমার সাথে একই কাজ করতো আমি পরবর্তী দুই বছর পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট খেলতে পারতাম। আমি জানি এখন ফিটনেসের ক্ষেত্রে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। আমি তা করতে পারতাম বলে মনে করি যা যা প্রয়োজন হত সবই করতে রাজি ছিলাম।’