

ক্রিকেট হয়তো তাদের তারকা খ্যাতি এনে দিয়েছে, তবে তার বাইরে ক্রিকেটাররা নিশ্চিতভাবেই পাড়ি দিয়ে আসেন সমাজের অন্য ৮-১০ জন কিশোরের মত জীবন। তারকা হওয়ার পরও ২২ গজের বাইরে পরিবার, বন্ধুদের কাছে ঠিকই অপরিবর্তিত একজন। ছোটবেলায় কারও পছন্দ ঘুড়ি উড়ানো তো কারও ব্যাডমিন্টন খেলা, ডাব চুরি ছাড়া কৈশোর কাটেনি তাদের অনেকেরও। জাতীয় দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের শখ ঘুড়ি উড়ানো, ছোটবেলায় মায়ের কম বকুনি খাননি। এখনো সুযোগ পেলে ঘুড়ি উড়ান, বাড়ি গেলে ডাবও চুরি করেন। স্মৃতিতে ফিরে আসে বিকেএসপির ডাব চুরির ঘটনাও।
করোনা ভাইরাস প্রভাবে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের প্রিয় ক্রিকেট স্মারক নিলামে তুলছেন ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশে এমন কার্যক্রমের আয়োজক ‘অকশন ফর অ্যাকশনের’ ফেসবুক পেইজে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়ে যায় তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকারের স্মারক নিলাম। ২০১৭ সালে সেডন পার্কে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্যাটটি নিলামে তোলেন সৌম্য।
নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে তাসকিন আহমেদের সাথে লাইভ সেশনে এসে সৌম্য শোনালেন তার ঘুড়ি উড়ানোর জন্য বকা খাওয়া ও ডাব চুরির গল্প। ভক্তের করা প্রশ্নের জবাবে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ঘুড়ি উড়ানোর শখ নিয়ে বলেন,
‘একটু না অনেক (শখ) ছিল। আমি এ (ঘুড়ি উড়ানো) জিনিসটা অনেক পছন্দ করি। একদিন আগেও আমি ছাদে ঘুড়ি উড়িয়েছি। আমি খুব উপভোগ করি এটা।’
‘ছোটবেলায় স্কুলের আগে বা স্কুলের পরে বন্ধুদের নিয়ে ঘুড়ি উড়াতাম সুযোগ পেলেই। বাড়ির সামনে একটা মাঠ ছিল সেখানে প্রচুর ঘুড়ি উড়াতাম তো মা প্রচুর বকাবকি করতো। বাসায় ফিরলে দেখা যেত বেশিরভাগ সময় দেখা যেত মা ঘুড়ি ছিঁড়ে ফেলছে বা সুতা ছিঁড়ে ফেলছে। তো একটা সময় এসব থেকে রক্ষা পেতে আমার একজন বন্ধু আছে শাহীন, ওর বাসায় ঘুড়িগুলো রেখে আসতাম।’
লাইভে তার সঙ্গী তাসকিন আহমেদ প্রশ্ন ছোঁড়েন সৌম্য কখনো ডাব চুরি করেছন কীনা? জবাবে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ডাবতো ছোটবেলায় কেন এইতো কিছুদিন আগেও চুরি করেছি। মানে করোনার আগে আরকি যখন বাসায় আসছিলাম তখন। ঢাকাতেতো সম্ভব হয়নি, বিকেএসপিতে থাকতে অনেক করতাম। বিকেএসপির দুই নাম্বার মাঠের পেছনে কিছু গাছ আছে, ওগুলো থেকে অনেক করা হত ডাব চুরি।’