

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে স্থগিত সবধরণের ক্রিকেট, পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে কবে নাগাদ মাঠে খেলা ফিরবে তার নিশ্চয়তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে মাত্র এক রাউন্ড পরই থমকে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের কোচদেরও সময় কাটছে অনিশ্চয়তায়। প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উন্নতি হওয়া পারটেক্স ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃপক্ষ ফোন ধরছেনা কোচের। তবে অন্যদের চেয়ে আলাদা অবস্থানে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, কোচদের পাশে থাকার আশ্বাস।
পারটেক্স ক্রিকেট ক্লাবের কোচ রেজাউল হক ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ফিল্ডিং কোচ রাজিন সালেহ দুই ভাই। চলতি করোনা সংকটে দুজনে নিজেদের ক্লাব থেকে পেলেন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া। মাত্র এক রাউন্ড পর রুটি-রুজির মূল উৎস ঢাকা লিগ স্থগিত হওয়ায় বেশ বেকায়দায় কোচরা। বোর্ডের চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা বোর্ডের আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। কোচরা ইতোমধ্যে আবেদন করলেও এখনো পর্যন্ত সাড়া মেলেনি।
বেশিরভাগ ক্লাবগুলো ক্রিকেটার, কোচদের পারিশ্রমিক নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। লিগ শুরুর আগেই কোচদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে দেয় ক্লাবগুলো। কিন্তু সেটাও জোটেনি পারটেক্স কোচ রেজাউল হকের, এখন ফোন দিয়েও যোগাযোগ করতে পারছেন না ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাথে।
‘ক্রিকেট৯৭’ কে রেজাউল হক বলেন, ‘আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি কিন্তু ক্লাব ফোন ধরেনা, কিছু বলেওনা। ম্যাসেজ দিলেও রিপ্লাই দিচ্ছেনা। আমাদের ক্রিকেটাররাও ফোন দেয়, যোগাযোগ করতে চায় তারাও কোন সাড়া পাচ্ছেনা। ফোন ধরলেও সার্বিক পরিস্থিতি, দেশের বর্তমান অবস্থা এসব নিয়ে কথা বলে। টাকা-পয়সার ব্যাপারে কিছু বলেনা।’
লিগ শুরুর আগে পারিশ্রমিকের যে অংশ পাওয়ার কথা সেটাও দিতে শুরু থেকেই গড়িমসি করেছে ক্লাব- অভিযোগ রেজাউলের, ‘লিগ শুরুর আগে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে দেওয়ার কথা সবাইকে। আমি সেটাও পাইনি। আজ দিব কাল দিব করতে করতে করোনা পরিস্থিতি চলে এসেছে। এখনতো তাদের সাথে সেভাবে যোগাযোগই করতে পারছিনা।’
বোর্ডের চুক্তির বাইরের কোচরা বোর্ডে আর্থিক প্রণোদনার ব্যাপারে আবেদন করেছেন উল্লেখ করে পারটেক্স ক্রিকেট ক্লাবের কোচ যোগ করেন, ‘রাজিন (রাজিন সালেহ) আমাকে জানিয়েছে যারা চুক্তিবদ্ধ কোচ না তারা সবাই মিলে বোর্ডের কাছে একটা প্রণোদনার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছে। আমিও ঐ তালিকায় আছি বলে জানিয়েছে আমাকে। তবে ওটার অগ্রগতি কতটুক হয়েছে আমার জানা নেই। এরপর আর সে ব্যাপারে কোন তথ্য পাইনি।’
এই দুঃসময়ে বেশিরভাগ ক্লাবই যখন ক্রিকেটার, কোচদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন সেখানে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব কোচদের আশ্বস্ত করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট পরিমান পারিশ্রমিক দিয়ে দিবেন বলেও জানিয়েছেন।
দলটির ফিল্ডিং কোচ রাজিন সালেহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ক্লাব আসলে চেষ্টা করছে আমাদের কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দিতে। খেলোয়াড়দেরতো ৫০ শতাংশের মত টাকা পেয়েছে। কোচিং স্টাফদের বেতনও আসলে খুব কম। এর মধ্যেই আমার ক্লাব চেষ্টা করছে, আমার প্রধান কোচের সাথে কথা হয়েছে, ক্লাব মালিক তানজিল ভাই আছে।’
‘উনার সাথে কথা বলেছি উনি জানিয়েছেন আমাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ ব্যবস্থা করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি, চিন্তা করবেন না। আপাতত এটা দিয়ে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তো কয়েকদিনের মধ্যে সেটা পাবো বলে আশা করছি।’