

করোনা প্রভাবে থমকে আছে সবধরণের ক্রিকেট, গৃহবন্দী সময় কাটাতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। বৈশ্বিক এই সংকটময় সময়ে বেশ ভালোভাবেই পিছিয়ে গেছে যুব বিশ্বকাপ জয়ী যুবাদের নিয়ে বিসিবির নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কার্যক্রম। যে সময়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলে সিনিয়রদের কাছ থেকে বড় মঞ্চের উত্তাপ গায়ে মাখানোর কথা, তখন সময় কাটছে রিমোট চেপে চ্যানেল বদলিয়ে।
বাস্তবতা মেনে নিয়ে যুবারাও বলছেন অপেক্ষায় স্বাভাবিক জীবনযাপনের। তবে যুবাদের নিয়ে কাজ করা বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ ঠিকই ভাবছেন তাদের নিয়ে। এই ফাঁকা সময় ভালোভাবে কাজে লাগাতে আর বাহ্যিক জ্ঞান আহরণে দিচ্ছেন পরামর্শ। বিশেষ করে বই পড়াতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে আকবর আলির দলকে।
ব্যাট বলের ব্যস্ততা নেই, চাইলেও পুরোদমে করা যাচ্ছেনা ফিটনেস ট্রেনিংও। মাঠে কোচ-ক্রিকেটারদের দেখা হচ্ছেনা তবে ভার্চুয়াল জগতে ঠিকই একসাথে আছেন সবাই। যেখানে আদান প্রদান হচ্ছে পরিকল্পনা, পরামর্শ। যার তদারকিটা হচ্ছে আবার বিসিবি থেকেই।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখানো যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য শাহাদাত হোসেন দিপু জানিয়েছেন সময়টা কাজে লাগাতে বই পড়তে পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড। যুব বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ৭৪ রানের ইনিংস খেলা দিপু বলেন,
‘আমাদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। ওখানে নিয়মিতই পরামর্শ দেওয়া হয় বোর্ড থেকে। সময়টা ভালোভাবে কাজে লাগাতে বলেছে। বিশেষ করে বই পড়া, পরিবারকে সময় দেওয়া এসব। কোন নির্দিষ্ট বইয়ের নাম বা এমন কিছু বলেনি। বাসায় বসে এসব করা ছাড়া আর উপায়ও নেই। বই খুব একটা পড়া হয়নি আমার, তবে এখন থেকে চেষ্টা করবো।’
বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলিও জানিয়েছেন গৃহবন্দী সময়ে বোর্ডের দেওয়া নির্দেশনার কথা। আকবর বলেন,
‘আমরা তো ধরেন সরাসরি বোর্ডের আওতায় আছি। তো বোর্ড থেকে আমাদের কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেগুলা আমাদের যিনি ম্যানেজার আছেন, উনিই দিয়ে দিচ্ছেন। ব্যাপারপটা মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার কারণে। কিছু বই পড়ার কথা উল্লেখ করেছে। পরিবারকে সময় দিতে ও এমন পরিস্থিতিতে বাসায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। আর বয়সভিত্তিক এবং জেলা পর্যায়ে যে খেলোয়াড় আছে, তাদেরকে স্থানীয় কোচের মাধ্যমে কিছু বার্তা দেওয়া হয়েছে।’