

করোনা শঙ্কায় থমকে আছে পুরো বিশ্বই। আর উদ্ভূত এই সংকট মোকাবেলায় কাজ করছে ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেটাররাও। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কান বোর্ড ইতোমধ্যে সরকারি তহবিলে দান করেছে বড় অঙ্কের অর্থ। বিসিবিও সে পথে হাঁটছে জানা গেছে দিন কয়েক আগেই। তবে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বোর্ড। বোর্ড পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলছেন এ সিদ্ধান্ত নিবেন বিসিবি সভাপতি নিজে, আর সেটা বিসিবির গঠনতন্ত্র মেনেই।
জাতীয় দলের ২৭ ক্রিকেটার মিলে প্রায় ৩১ লাখ টাকার তহবিল গঠন করে করোনা প্রতিহত কার্যক্রমে অনুদান দিতে। নিজ উদ্যোগেও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের এই সংকটময় সময়ে। গরীব, অসহায়দের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান দিচ্ছেন নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে।
কিন্তু বিসিবি এখনো সেরকম কোন ঘোষণা না দেওয়ার পেছনে কারণ জানাতে গিয়ে বোর্ড পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘বিসিবি করোনা মোকাবিলায় যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত। সরকারকে আমরা সবধরণের সহযোগিতা করবো। তবে এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন আমাদের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যদি আর্থিক অনুদান দিতে হয়, কত দেবেন তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সংক্রমণ প্রতিহতে ইতোমধ্যে বিসিবির দাপ্তরিক কার্যক্রম বাসা থেকেই চলছে। বোর্ড সভাপতি কিংবা পরিচালকরা বিসিবি কার্যালয় থেকে আছেন দূরেই। ফলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে বোর্ড সভার আয়োজন আদৌতেই সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সাংবিধানিক নিয়মানুসারেই সভাপতি নাজমুল হাসান একাই নিবেন কি পরিমান অর্থ বা কীভাবে সরকারকে সাহায্য করা যায় তার সিদ্ধান্ত।
মল্লিক যোগ করেন, ‘একটি কথা বলে রাখা ভালো বিসিবির সংবিধান অনুসারে জরুরি পরিস্থিতিতে কোনো আলোচনা বা মিটিং ছাড়াই বিসিবি সভাপতি যেকোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতে পারবেন। পরে তা বিসিবির কার্যনির্বাহী পরিষদে পাশ হবে।’
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ প্রতিহতে নিজ নিজ দেশের সরকারি তহবিলে শ্রীলঙ্কা, ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অনুদান দিয়েছে ২৫ মিলিয়ন লঙ্কান রুপি, ৫২ কোটি ভারতীয় রুপি ও ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অনুদানে অবশ্য অংশ নেন বোর্ড কর্তা ও চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা।