বিশ্বকাপজয়ী পেসার এবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে

যোগিন্দর শর্মা
Vinkmag ad

যোগিন্দর শর্মা ভারতীয় ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন তারকা। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে ছিল তাঁর হাত। শেষ ওভারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে তাঁর হাতেই বল তুলে দিয়েছিলেন ধোনি। খেলেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও। করোনা যুদ্ধে লড়ছেন বিশ্বকাপজয়ী সেই যোগিন্দর শর্মা।

দেশের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের এই সাবেক ক্রীড়াবিদের সময় কাটছে রাস্তায়। জনসংযোগ রক্ষায় ব্যস্ত। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বোঝানো। মানুষকে ঘর থেকে বেরোতে নিষেধ করার এই কাজ করছেন। কারণ এই সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার এখন হরিয়ানার পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসার। যোগিন্দর শর্মা হরিয়ানার হিসারের ডিএসপি।

তিনি ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে বলেছেন ‘এ রকম সময় মানুষকে বোঝানোই কঠিন কাজ। সকালে উঠে বাজারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি। বেশিক্ষণ যাতে বাজার খোলা না থাকে। বাজারের সময় একে-অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলতে হয়।’

দেশের জন্যে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের সঙ্গে যোগিন্দর শর্মাও হিরো।

২০০৭ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ওভারে বিধ্বংসী মেজাজে থাকা পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান মিসবাহ-উল-হকের সামনে ভারতের যোগিন্দর শর্মার আগুন বোলিং। সেদিন মিসবার উইকেট নিয়ে দেশের হাতে বিশ্বকাপটা তুলে দিয়েছিলেন।

এবার তিনি অন্য যুদ্ধে, ক্রিকেট থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পেশায়। এবার তার লড়াই জীবনের। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতীয় পুলিশের খাকি পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্বকাপ জয়ী বোলার যোগিন্দর শর্মা।

এই পেসারের এমন কাজকে সম্মান জানিয়েছে আইসিসি, ‘২০০৭ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হিরো থেকে ২০২০ এর প্রকৃত বিশ্ব হিরো।’

ভারত পুলিশের ডিএসপি যোগিন্দর শর্মা আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেছেন,

‘যত বড়ই ম্যাচ হোক, সেখানে তো প্রাণ হারানোর কোনও আশঙ্কা ছিল না। কিন্তু এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের তীব্রতা নিয়ে তো তেমন স্পষ্ট ধারণা নেই। এই রোগের প্রতিষেধকও এখনও বেরোয়নি। তাই এই পরিস্থিতিটা দেশবাসীর কাছে কঠিনতম চ্যালেঞ্জ। তাই সকলের কাছে একটাই অনুরোধ বারবার করে চলেছি, বাড়িতে থাকুন। দয়া করে বেরোবেন না। এ ভাবেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে।’

‘ডিএসপি হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা অন্য রকম। করোনা-আতঙ্কের মধ্যে এই চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। পুলিশ হিসেবে প্রচুর দায়িত্ব সামলাতে হয়। সাধারণ মানুষকে লকডাউনের অর্থ বোঝাতেই বেশির ভাগ সময় চলে যাচ্ছে। অনেকেই বাজারে ভিড় করছেন পণ্যসামগ্রী কেনার জন্য। রাস্তায় যে কোনও ভাবেই ভিড় করা উচিত নয় এই সময়ে, সেটা অনেকেই বুঝতে পারছেন না।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

একজন ‘স্বশিক্ষিত’ অফ স্পিনার অসাধারণ কিছু করে ফেলেছিলেন

Read Next

রায়নাকে মোদিঃ ‘এটি একটি অসাধারণ ফিফটি’

Total
9
Share