

গোটা পৃথিবী যখন করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরবন্দী তখন অস্ট্রেলিয়ায় স্টিভ স্মিথের রবিবার সকালটা শুরু হয়েছে স্বস্তি দিয়েই। না, করোনা মোকাবেলা করার জন্য কোন কিছুর সন্ধান তিনি পেয়ে যাননি। অধিনায়ক হতে তার বাঁধার ২ বছর মেয়াদ শেষ হয়েছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চাইলে স্টিভ স্মিথ অজি অধিনায়ক হতে পারবেন আবারো।
২০১৮ সালে কেপটাউনে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর ১ বছর করে নিষিদ্ধ করা হয় স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে। ভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ক্যামেরুন ব্যানক্রফটও। সেসময় সহ অধিনায়ক থাকা ডেভিড ওয়ার্নারকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল লিডারশিপ গ্রুপ থেকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞায় (লিডারশিপ) স্টিভ স্মিথের মেয়াদ ছিল ২ বছর।
এই সময়ে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান টিম পেইন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অ্যারন ফিঞ্চ সামলিয়েছেন অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। তাদের অধীনে দল হিসাবে বলার মতো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে অজিরা। ৩৫ বছর বয়সী টিম পেইন দলকে ৩ নম্বর টেস্ট দলে পরিণত করেছেন। ৩৩ বছর বয়সী ফিঞ্চ দলকে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে উঠিয়েছেন। ঘরের মাঠে এই দুইজনেরই জয়ের হার শতভাগ।
৩০ বছর বয়সী স্টিভ স্মিথকে পূর্ণকালীন অধিনায়ক (সব ফরম্যাটে) করা হবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। অনেক সাবেক অজি ক্রিকেটারের মতে অধিনায়কত্ব পাওয়া উচিৎ প্যাট কামিন্সের। যদিও শেষমেশ সিদ্ধান্ত নেবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াই, নিষেধাজ্ঞাটাও যে তারাই আরোপ করেছিলেন।
গেলবছর অজি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার টিম পেইনের অধিনায়কত্বের প্রশংসা করেছিলেন। এবং বলেছিলেন স্টিভ স্মিথ কেবল ব্যাটিং নিয়েই ভাবতে চায়। সেক্ষেত্রে অধিনায়কত্ব টা তার কাছে বার্ডেন বলে রায় দিয়েছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসাবে স্টিভ স্মিথ-
ফরম্যাট | ম্যাচ | জয় | হার | টাই | ড্র/ পরিত্যক্ত | জয়ের হার (শতাংশ) |
টেস্ট | ৩৪ | ১৮ | ১০ | ০ | ৬ ড্র | ৫২.৯৪ |
ওয়ানডে | ৫১ | ২৫ | ২৩ | ০ | ৩ পরিত্যক্ত | ৫২.০৮ |
টি-টোয়েন্টি | ৮ | ৪ | ৪ | ০ | ০ | ৫০.০০ |