

করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। ব্যতিক্রম নয় নিউজিল্যান্ডও। কিউই দেশটিতেও ভালো প্রভাব পড়েছে করোনাভাইরাসের। জনজীবন থমকে দাঁড়িয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় নিউজিল্যান্ড। দেশে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী অন্যান্যদের পেছনে পুরো নিউজিল্যান্ডবাসীর সমর্থন রয়েছে জানিয়ে চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে কিউই অধিনায়কের খোলা চিঠি।
ক্রমেই আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। আতঙ্কের মধ্যে লকডাউনের পথে হাঁটল নিউজিল্যান্ড। মাত্র ৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশ নিউজিল্যান্ডে করোনার বিরুদ্ধে সব থেকে আগে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। ডাক্তার থেকে শুরু করে নার্স সকলে দিন রাত করোনা আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচাতে খাটছেন। এমন লড়াইয়ে তাঁরাই আসলে প্রকৃত যোদ্ধা। যারা লড়াই করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
সেই ডাক্তার ও নার্সদের জন্য আবেগঘন ও প্রেরণাদায়ী খোলা চিঠিতে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন লিখেছেন,
‘প্রিয় ডাক্তার, নার্স ও সেবাদানকারীগণ,
গত কয়েক দিনের দৃশ্যপট এটি পরিস্কার করে দিয়েছে যে, এমন একটি স্বাস্থ্য সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি, যা আগে কখনও আমরা দেখিনি।
কোনো সংশয় নেই, এখন আমরা যেসবের মুখোমুখি হচ্ছি, সামনের দিনগুলিতে এসবের মাত্রা আরও অনেক বেড়ে যাবে।
আমরা খুবই কৃতজ্ঞ যে আপনারা আমাদের পাশে আছেন।
ক্রীড়াবিদরা পারফর্ম করার জন্য কতটা চাপে থাকে, এসব নিয়ে লোকে অনেক কথা বলে।
কিন্তু সত্যিটা হলো, আমরা যেটিকে ভালোবাসি, সেটিকেই জীবিকা হিসেবে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমরা স্রেফ খেলি।
সত্যিকারের চাপ হলো, জীবন বাঁচানোর জন্য কাজ করা। সত্যিকারের চাপ হলো, নিজের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে প্রতিদিন অন্যের ভালোর জন্য কাজ করে যাওয়া।
সামনের সপ্তাহ বা মাসগুলির প্রতিটি দিন, আপনাদের সহকর্মীদের এটিই করতে বলা হবে।
এটি বিরাট এক দায়িত্ব, যা পালন করতে পারেন কেবল সেরা মানুষেরাই, যারা সবকিছুর আগে গুরুত্ব দেয় অন্যের ভালোকে।
ব্ল্যাকক্যাপস (নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের যে নামে ডাকা হয়) হিসেবে, আমরা জানি গোটা দেশের সমর্থন পাওয়ার অনুভূতি কতটা অসাধারণ।
সেই একই স্রোতে মিশে আপনাদেরকে আমাদের জানানো প্রয়োজন যে আপনারা একা নন। আপনাদের জানাতে চাই যে, গোটা দেশ আপনাদের পাশে আছে।
আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠব এবং আপনারা তার একটি বড় কারণ।’