

ভারতীয় বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সৌরভ গাঙ্গুলি জানতেন তার মেয়াদ মাত্র ৯ মাস। নিয়মানুসারে বোর্ডের সাথে ৬ বছর জড়িত থাকা ব্যক্তিকে তিন বছরের আবশ্যিক ‘কুলিং পিরিয়ডে’ যেতে হয়। তবে পুরো ব্যাপারটিকে অবিচার বলছেন আইপিএল স্পট ফিক্সিং মামলার প্রধান বাদী আদিত্য ভার্মা। বাধ্যতামূলক কুলিং পিরিয়ড নয় বরং বোর্ডের স্বার্থে গাঙ্গুলির কার্যক্রম যে অব্যাহত থাকে এ বিষয়ে আদালতে আবেদনও করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
‘সাংবিধানিক সংস্কারের প্রধান আবেদনকারী হিসেবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি আদালতে আবেদন করবো যেন সৌরভ গাঙ্গুলি ও তার দল তিন বছর মেয়াদ চালিয়ে নেয়।’
বিচারপতি আরএম লোধা কমিটির সংস্কার ভিত্তিতে বিসিসিআই’র নতুন গঠনতন্ত্র অনুসারে, যে কোনও ব্যক্তি ধারাবাহিকভাবে ছয় বছরের জন্য রাজ্য এবং বিসিসিআই পদে অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করলে বাধ্যতামূলক তিন বছরের কুলিং পিরিয়ডে যেতে হবে।
সৌরভ গাঙ্গুলি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) যুগ্ন সচিব ও পরবর্তীতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৫ বছর ৩ মাস, ফলে মাত্র ৯ মাস বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে কাজ করলেই পূর্ণ হবে ৬ বছর। অন্যদিকে বোর্ডের বর্তমান সেক্রেটারি জয় সাহাও গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৫ বছরের বেশি সময়। নিয়মানুসারে দুজনকেই যেতে হবে বাধ্যতামূলক কুলিং পিরিয়ডে।
নিয়মানুসারে সৌরভকে বিসিসিআই সভাপতির পদ ছাড়তে হবে, এরপরও আদিত্য ভার্মার আবেদনের কারণ ভিন্ন, ‘আমার উদ্দেশ্যে ছিল বিসিসিআইয়ের স্বচ্ছ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা। সৌরভের মাপের কোনও ব্যক্তি যদি তার মেয়াদটি শেষ করতে না পারেন, তবে আমরা তাকে কী ব্যবহার করতে পারলাম?’
আগের কমিটির অব্যবস্থাপনাও আদিত্য ভার্মাকে বর্তমান কমিটির কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আবেদন করতে ভূমিকা রাখছে, ‘বিসিসিআই প্রশাসনিক কমিটি প্রায় তিন বছর ধরে পুরোপুরি অব্যবস্থাপনা করেছিল। দায়িত্বে আসা যে কোনও ব্যক্তির জন্য একটি ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য সময় প্রয়োজন। গাঙ্গুলি এবং তার দলকে অবশ্যই সেই সময় দেওয়া উচিত।’
আপনি যদি বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দেশে সম্পূর্ণ লকডাউন রয়েছে। মনে হয় আমরা দুই মাসের কার্যক্রম হারাচ্ছি, গাঙ্গুলি এবং সাহা দুজনের উপরই অবিচার হবে যদি পুরো প্রক্রিয়া গুছিয়ে তোলার যথেষ্ট সময় না দেওয়া হয়। এটাই হবে আমার আবেদন।’