

বিশ্বব্যাপী করোনা আশঙ্কায় স্থবির হয়ে আছে সবধরণের খেলাধুলা। ব্যত্যয় ঘটেনি বাংলাদেশেও, প্রিমিয়ার লিগ শুরু হলেও প্রথম রাউন্ড পরই থামাতে হয় বিসিবিকে। মাঠের সাথে দুরত্ব বেড়েছে ক্রিকেটারদের, সময় কাটাতে হচ্ছে অনেকটা অপ্রত্যাশিত ছুটিতে। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের কাপ্তান আকবর আলি, পেসার শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব জানিয়েছেন অবসর কাটছে কীভাবে। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় আকবর, সাকিব ক্রিকেট থেকে আপাতত দূরে থাকাটাকে নিয়েছেন বাস্তবতা হিসেবে, অন্যদিকে শরিফুল মুখিয়ে দ্রুত ২২ গজে ফিরতে।
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শক্তিশালী আবাহনী লিমিটেডে নাম লিখিয়েছেন সিলেটের পেসার তানজিম হাসান সাকিব। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরণের ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়িতেই ফিরে গেছেন সাকিব। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই পেসার বলছেন পরিস্থিতি বিবেচনায় সেরা সিদ্ধান্তই নিয়েছে বিসিবি, ‘এটা আসলে মেনে নিতে হবে যে করোনা ভাইরাস যদি বাংলাদেশে মহামারী আকার ধারণ করে তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বিপদজনক।’
‘একদিকে এটার তেমন কোন চিকিৎসা নাই তার উপর উন্নত বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো হিমশিক খচ্ছে সেখানে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হলেও এখানে যদি মহামারী আকার ধারণ করে তবে খুবই ভয়াবহ অবস্থা হয়ে যাবে। আমি মনে করি সিদ্ধান্তটা (খেলা স্থগিত) খুবই ভালো নিয়েছে।’
ঝুঁকি এড়াতে জিমে না গেলেও বাড়িতে ট্রেনারের পরামর্শ মেনে কাজ করছেন সাকিব। তরুণ এই পেসার জানিয়েছেন করোনা আশঙ্কায় বাড়িতে লোকসমাগম কমেছে যেটি তার চোখে ইতিবাচক, ‘সত্যি বলতে আমি বলবো এখন অনেক শান্ত লাগতেছে। এখন আর কেউ আগের মত বাড়িতে আসছে না। বন্ধুরা ফোন দিচ্ছে তবে আমি সেভাবে বের হচ্ছি না। আসলে এখন পরিবারকে বেশি সময় দিচ্ছি, বেশ ভালো লাগছে।’
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলি। অপ্রতাশিত ছুটিতে তার ঠিকানাও আপাতত গ্রামের বাড়ি রংপুরে। সেখান থেকেই জানালেন , ‘এখানে আসলে তেমন কিছু করার নাই। শুধু বাংলাদেশ না তো, পুরো বিশ্বে খেলা বন্ধ হয়ে আছে তো আশা করতেছি যে যত দ্রুত সম্ভব যেন এটা ঠিক হয়ে যায়। এর থেকে বেশি কিছু করার নেই আমাদের।’
বাস্তবতা মানা উইকেট রক্ষক এই ব্যাটসম্যান বলছেন বাসায় থেকে যতটুকু কাজ করা যায় ফিটনেস নিয়ে চেষ্টা করছেন সেসব করার, ‘চেষ্টা করেছি একটু রানিং করার। যে সময়টাতে মাঠে তেমন কেউই থাকে না। একদম ভোরে বা এমন এক সময় যখন আসলে মাঠে তেমন কেউ থাকে না। আর বাসায় যে ওয়ার্ক আউটগুলো করা যায় ওগুলা করছি।’
টাইগারদের নয়া ওয়ানডে কাপ্তান তামিমের দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবে ঠিকানা গড়া পঞ্চগড়ের শরিফুল দারুণ মিস করছেন ক্রিকেটকে। প্রতিনিয়ত কামনা করছেন দ্রুত যেন অবসান ঘটে করোনা আশঙ্কার, ‘যেহেতু আমি একজন পেশাদার ক্রিকেটার তো ক্রিকেট ছাড়া থাকতে মনে হচ্ছে কিছু একটা মিস করতেছি। সবসময় চাচ্ছি যেন করোনা ভাইরাস মুক্ত হয় আমাদের দেশ। যাতে আমরা আবার মাঠে ফিরতে পারি।’
বাঁহাতি এই পেসারও অন্যদের মত গ্রামে থেকেই নিজেকে ফিট রাখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, ‘গ্রামের রাস্তা সাধারণ সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত ফ্রি পাওয়া যায়। এরপর গাড়ি চলাচল শুরু হয়। তো ছয়টার দিক থেকে রানিং শুরু করি, যতটুক করা যায়। যতটুকু দৌড়ালে নিজের ফিটনেস ধরে রাখা যায়।’