

হাই পারফরমেন্স ইউনিটের উঠতি ও সম্ভাবনাময় তরুণ ফাস্ট বোলারদের কোচিং করানোর জন্য বাংলাদেশে ফিরে আসেন লঙ্কান কোচ চম্পকা রমানায়েকে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ এইচপি দলের বোলিং কোচ হয়ে আসা এই কোচ এবার প্রধান কোচের দায়িত্ব পাচ্ছেন। চম্পকাকে এইচপির প্রধান কোচ করার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
দেশের দৈনিক সংবাদপত্র সমকালের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে এমন তথ্য। গতকাল এইচপি চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয় সমকালকে জানান,
‘চম্পকা অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন। ক্রিকেটারদের সম্পর্কে তার জানাশোনাও ভালো। পাপন ভাইয়ের (নাজমুল হাসান পাপন) সঙ্গে কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’
এই ইস্যুতে শ্রীলঙ্কায় থাকা চম্পকা রমানায়েকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে দৈনিক সমকাল। চম্পকা জানালেন,
‘আমি নিজে থেকেই এইচপির দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলাম। কারণ ছেলেদের সম্পর্কে আমার জানাশোনা আছে। একাডেমি ও এইচপির সবার সঙ্গেই কাজ করেছি গত দুই বছর। ইমার্জিং এশিয়া কাপ এবং এসএ গেমসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এজন্যই প্রত্যাশা ছিল আমাকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু পরে জানতে পারি, ইউরোপের কোচ নিয়োগ দিতে চান তারা। পল নিক্সনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিল, সে বোধহয় না করে দিয়েছে। তবে বোর্ড আমার ওপর আস্থা রাখলে খুশি হবো।’
লঙ্কান চম্পাকা রামানায়েকের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্পর্ক অনেক পুরোনো। বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রথম প্রথম ফাস্ট বোলিং কোচ তিনি। ২০০৮ সালে প্রথমবার বাংলাদেশের পেসারদের কোচিংয়ের দায়িত্ব নেন শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৮টি টেস্ট ও ৬২ ওয়ানডে খেলা চম্পকা। ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার এই সাবেক পেসার ছিলেন বাংলাদেশে।
এরপর বিসিবির চাকরি শেষে দেশে ফিরে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। সেই চম্পাকাকে ফের বিসিবি ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশে। ২০১৭তে তাকে দেয়া হয়েছে হাই পারফরম্যান্সের (এইচপি) কোচের দায়িত্ব। বিসিবির চলতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২১ জুন। কিন্তু চম্পাকা রামানায়েকের সঙ্গে এবার বিসিবির ভিন্ন পরিকল্পনা। হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্রিকেটারদের প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়া হবে তাঁকে।