

করোনা ভাইরাসের কারণে সব ধরণের ক্রিকেট খেলা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড)। আজ (১৯ মার্চ) এই ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। শুরুতে কেবল ডিপিএলের ১ রাউন্ডের খেলা স্থগিত করেছিল বিসিবি। অবস্থা বিবেচনায় এখন সবধরণের ক্রিকেট স্থগিত করলো বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আজ বিসিবি কার্যালয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘বেসিকালি আপনারা সবাই জানেন যে করোনা ভাইরাসের কারণে পৃথিবী ব্যাপী যা হচ্ছে, বাংলাদেশেও ডেফিনেটলি সবাই এটা নিয়ে কাজ করছে। সেজন্য সব জায়গাতেই খেলাধুলা বন্ধ আছে। আমাদেরও ক্রিকেটটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ডিপিএল যেটা চলছিল, প্রথম রাউন্ডের পর এটা আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে অপেক্ষা করি। অবস্থার পরিবর্তন যদি হয়।’
‘সকলের সঙ্গে আলোচনা করে যেটা সঠিক মনে হয়েছে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথম দিকে মনে হয়েছিল অনেকেই (খেলোয়াড়, ক্লাব) খেলতে চাচ্ছিল। এখন পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে। যত সময় যাচ্ছে তত ভিন্ন মতও আসছে।’
‘সবকিছু বিবেচনা করে আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ক্রিকেটের সব খেলা আপাতত স্থগিত। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত।’
‘পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বলতে আমরা যা বোঝাচ্ছি, পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করবো। পরিস্থিতির যদি উন্নতি হয়, যদি মনে করি এখন খেলার পরিবেশ এসেছে- অবশ্যই আমরা সেই তারিখে ঘোষণা করবো। এখন একটা তারিখ দিতে চাচ্ছি না। কারণ, আমরা জানি না ৩১ মার্চের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে নাকি আরো খারাপ হবে। তবে আমার মনে হয় না ১৫ এপ্রিলের আগে খেলা শুরু হবার কোন সম্ভাবনা আছে।’
সোমবার (১৬ মার্চ) বিকেল সচিবালয়ে সভাকক্ষে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠককালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছিলেন, ‘করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হবার সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতে স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মন্ত্রীসভার বৈঠকে একজন মন্ত্রী বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন ক্রিকেট, ফুটবল টুর্নামেন্ট হচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল ঘরোয়া খেলা আপাতত বন্ধ রাখবেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক কোনো ইভেন্ট যদি থাকে সেটিও এপ্রিলের পরে করার অনুরোধ করবো।’
পরে ডিপিএলের ১ রাউন্ডের খেলা স্থগিত করে বিসিবি। খেলোয়াড়, কোচ, দল মালিকের অনেকেই অবশ্য চাচ্ছিলেন দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে খেলা চালিয়ে যেতে। গত ১৭ মার্চ আবাহনী লিমিটেডের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, ‘আমরা খেলতে চাই। ছেলেদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। সবাই খেলতে চায়। জানি যে করোনার একটা বিপদ আছে। আমরা তো মাঠের মানুষ, আমরা চাই খেলা হোক। এটা খেলার সিজন। পরে তো বৃষ্টি হবে। কষ্ট হবে খেলতে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। আর করোনা ভাইরাসের যে ভয়াবহতা চলছে, সেটা থেকে সবাই মুক্তি পাবে, এটাই আশা করছি। সব স্বাভাবিক হয়ে আসবে, খেলা মাঠে ফিরবে এটাই আশা করি।’