

সাম্প্রতিক সময়টা খুব বেশি ভালো যাচ্ছেনা কাটার মাস্টার খ্যাত বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। শুরুর মুস্তাফিজের সাথে এখনকার মুস্তাফিজের মেলানো বেশ কঠিন। বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের কাটার, ইয়র্কার বিষে নীল করতেন একটা সময়। বিপিএল দিয়ে আবারও ছন্দে ফিরতে শুরু করেছেন মুস্তাফিজ, মাঝে করাতে হয়েছে সার্জারিও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেটে একদম মন্দ করেন নি। নিজের অতীত, বর্তমান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুস্তাফিজ জানালেন ইয়র্কার দিতে আত্ববিশ্বাসে আছে ঘাটতি।
জাতীয় দলের খেলা নেই, করোনা শঙ্কায় ইতোমধ্যে স্থগিত বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড, অনিশ্চিত পরের রাউন্ডগুলোও। ফলে অনুশীলন, ম্যাচ থেকে দূরেই থাকতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। ফাঁকা সময়ে মিরপুর একাডেমি মাঠে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন মুস্তাফিজ। দীর্ঘ আলাপচারিতায় মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ দেখে ফেলা মুস্তাফিজ কথা বলছেন নানা বিষয়ে।
২০১৫ সালে অভিষেকের পর থেকে খেলে ফেলেছেন ৫৮ ওয়ানডে, ১৩ টেস্ট ও ৪১ টি-টোয়েন্টি। উড়ন্ত ফর্মে ছিলেন ক্যারিয়ারের শুরুর কয়েক বছর, শেষ কয়েক বছর হয়ে পড়েন অনেকটা গড়পড়তা। মূল অস্ত্র কাটারে খুব একটা বিপদে ফেলা যাচ্ছেনা ব্যাটসম্যানকে। নিজেই জানালেন কারণ, ‘নতুন একটা জিনিস একরকম। আর এখন আমার সম্পর্কে জানা, সবাই জানে। প্রথম প্রথমতো ওভাবে আমার সম্পর্কে জানতো না। এখন আমি আগে যেরকম সহজে উইকেট পেতাম সেটা আমার জন্য কঠিন হয়েছে।’
কাটারের সাথে দুর্দান্ত ইয়র্কার ছিল মুস্তাফিজের বিশেষত্ব। বাঁহাতি এই পেসার ইয়র্কারে ব্যাটসম্যানকে ভূপাতিত করেছেন এমন দৃশ্যও কম নয়। ঘরের মাঠে কিংবা বাইরে, স্লো উইকেট হলে এখনো কাজ করে কাটার মনে করেন মুস্তাফিজ। তবে সেই পুরোনো ইয়র্কার দিতে আত্ববিশ্বাসে ঘাটতি আছে নিজেরই, ‘এখনো পর্যন্ত দেশে খেলা হলে হলে আমার বলের গ্রিপ ভালোই হয়। বাইরেতো এমন আহামরি হয়না। দুই-তিনটা জিনিস আমি চেষ্টা করতেছি। যেমন ইয়র্কারটা আমি আগের মত আত্ববিশ্বাস পাইনা। চেষ্টা করতেছি যে কি করলে আমার ভালো জায়গায় হবে। কাটারটাতো আছে, আর বল ভেতরে ঢুকানো।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড স্থগিত হয়েছে আগেই। বিশ্বজুড়ে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ানো করোনা ভাইরাস শঙ্কায় স্থগিত হতে পারে পরের রাউন্ডগুলোও। সেক্ষেত্রে বেশ ফাঁকা সময় ক্রিকেটারদের জন্য। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবে নাম লেখানো মুস্তাফিজ বলছেন ফাঁকা সময় একা একা ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে চান, ‘রানিং টানিং গুলো করতে হবে। অন্য কিছু করতে হলেতো অন্তত ৪-৫ জন লাগে। বোলিং ব্যাটিং, ব্যাটিংতো আসলে করিনা, বোলিং করতে হলেতো কাউকেতো লাগবে। চেষ্টা করবো রানিং, কিছু ব্যয়াম আছে ওসব করে ফিটনেসের কাজটা করতে।’