

বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ ২০১৯-২০ এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ জমা করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। শুরুটা ভুতুড়ে হলেও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ফিফটিতে ম্যাচে ফেরে আবাহনী। শেষদিকে তান্ডব চালান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
মিরপর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আবাহনী লিমিটেডের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আবাহনীর হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ নাইম শেখ।
শুরুটা অবশ্য ভুলে যাবার মতো হয় আবাহনীর। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে রনি হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় লিটন দাসকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফেরেন শুন্যহাতে।
২য় ওভারের ১ম বলে জয়নুল ইসলামের বলে উইকেটরক্ষক ধীমান ঘোষকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মোহাম্মদ নাইম শেখও। ধীরে শুরু করা নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন ইনিংসের ১২ তম ওভারে (৩২ বলে ১৫ রান করে)। দলকে ৫৫ রানে রেখে সাজঘরে ফেরেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (২৬ বলে ১৪)। ৯ বলে ৩ রান করে আফিফ হোসেন ধ্রুব যখন ৫ম ব্যাটসম্যান হিসাবে সাজঘরে ফেরেন আবাহনীর রান তখন ৬৭।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম যোগ করেন ১৬০ রান। এই জুটিতেই ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ফেরে আবাহনী। লিস্ট এ ক্যারিয়ারে নিজের ১২ তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। ১২৪ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ১২৭ রান করে আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
৪ চার ও ২ ছক্কায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাট থেকে আসে ৬১ রান (৭৪ বল থেকে)। তবে আবাহনীর স্কোর ৩০০ ছুঁইছুঁই হয় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাটিং তান্ডবে। ১৫ বলে ৫ ছক্কায় ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১ টি করে চার ও ছক্কায় ১৪ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম।
৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৯ রান করে থামে আবাহনীর ইনিংস। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ৩ টি উইকেট নেন জয়নুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম ইনিংস শেষে)-
আবাহনী লিমিটেড ২৮৯/৭ (৫০), লিটন ০, নাইম ০, শান্ত ১৫, মুশফিক ১২৭, বিপ্লব ১৪, আফিফ ৩, সৈকত ৬১, সাইফউদ্দিন ৩৯*, তাইজুল ১৭*; রনি ৯-১-৭২-১, জয়নুল ১০-৫-২৮-৩, শাহবাজ ৯-০-৫৯-১, তাসামুল ৫-০-২৯-২।
পূর্নাঙ্গ ম্যাচ রিপোর্ট পড়ুনঃ
বড় জয় দিয়ে আবাহনীর ডিপিএল মিশন শুরু
One Comment
পুরোটাই তো জাতীয় দল!