

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশের মধ্যকার দুটি টি-টোয়োন্টি ম্যাচ আয়োজনের সূচী আগেই নির্ধারিত। চলতি মাসের ২১ ও ২২ তারিখ ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে ‘করোনা ভাইরাস’ সচেতনতায় সরকারি জোরদারে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ম্যাচ দুটির ভবিষ্যত। আজ (১০ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিসিবি সভাপতির বৈঠকের পরই জানা যাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
গত ৮ মার্চ বোর্ড সভার পর বিসিবি সভাপতি জানান টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দুটি ও ১৮ তারিখ এ আর রহমানের কনসার্ট আয়োজন নিয়ে তারা আশাবাদী। কিন্তু সেদিন রাতেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হয় ‘করোনা ভাইরাস’ আশঙ্কায় যাবতীয় আয়োজনকে তারা করে ফেলছেন সংক্ষিপ্ত। এমনকি বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও করা হয়েছে বাতিল।
এরপরই ক্রিকেটাঙ্গনে বড় প্রশ্ন তবে কি বাতিল হবে মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও কনসার্টটিও? গতকাল থেকেই বিসিবির বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করা হলে কেউই দিতে পরিষ্কার ধারণা। তবে আয়োজন হচ্ছে সেটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়নি। সরকারি সংকেতে অপেক্ষায় বিসিবি পাওয়া গিয়েছে অবশ্য তার ইঙ্গিত।
আজ (১০ মার্চ) বিসিবি থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার আশায় গণমাধ্যমের ছিল ব্যাপক আগ্রহ। সারাদিন তেমন কোন ইতিবাচক সাড়া না পেলেও দুপুরের পর নিশ্চিত হওয়া যায় আজ সন্ধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকে বসবে বিসিবি সভাপতি। পরে বোর্ড পরিচালকদের সাথে আলোচনার পর গণমাধ্যমকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বিসিবির তরফ থেকে।
উল্লেখ্য শুরুতে ‘করোনা ভাইরাস’ নিয়ে এতটা শঙ্কিত হতে দেখা না গেলেও গতকাল (৯ মার্চ) বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টির আগেই বিসিবির বাড়তি সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়। গতকাল সকাল থেকেই টিকিট বিক্রি সীমিত করে দেয় বিসিবি। মিরপুরের প্রায় ২৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার গ্যালারির জন্য সাকূল্যে ৫ হাজার টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী।
মূলত অধিক লোকসমাগম হয় এমন স্থানে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়ায় বলেই ঝুঁকি নিতে চায়নি বিসিবি। আগামীকাল দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও একই দৃশ্য দেখা যাবে। একজন দর্শক একটির বেশি টিকিট কিনতে পারবেন না বলেও জানানো হয় বিসিবি থেকে।